নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ এপ্রিল, ২০১৯

ডাকসুর আয় ব্যয়ের হিসাব চান নেতারা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের ২৭ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাচ্ছেন সংগঠনটির নতুন নেতারা। গত ২৭ বছরে ডাকসু ও হল সংসদের চাঁদা বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা নেয়া হয়েছে, আর কত টাকা আছে সে তথ্য দিতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক ও বিভিন্ন দিবস পালন করা হয়েছে। ডাকসু না থাকলেও তো এসব কর্মকা- পালিত হয়েছে। সেগুলো শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এ টাকা ব্যয় হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সময় ডাকসু ও হল সংসদের চাঁদা বাবদ ৬০ টাকা করে ১২০ টাকা দিতে হয়। সবশেষ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের জুন মাসে। যার মেয়াদ ছিল ১৯৯১ সালের জুন পর্যন্ত। তারপর ২৭ বছর কোনো সংসদ না থাকলেও থেমে থাকেনি চাঁদা আদায়। সেই হিসাবে প্রায় ১২ কোটি টাকার মতো জমা থাকার কথা। প্রথম বাজেট সভায় ডাকসুর কোষাধ্যক্ষের কাছে এই টাকার হিসেব চেয়েছেন ডাকসু নেতারা।

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডাকসুর টাকা কি করা হয়েছে কিংবা জমা আছে না কি খরচ করা হয়েছে, আর খরচ করা হলে কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে তার একটা অডিট আমরা চেয়েছি। এখন কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মহোদয়কে অবহিত করবেন এরপর অডিট করে আমাদের জানাবেন।’

ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম বলেন, ‘ছাত্র সংসদের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ইন্টারনেটের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের জন্য এবং উন্নয়ন বাবদ ফি নেয়া হয়। সে টাকাগুলোর ব্যাপারে অডিট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জানানোর জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছি।’

ডাকসুর এই টাকার হিসাব পাননি ডাকসুর নতুন কোষাধ্যক্ষও। ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ‘এই টাকার হিসাব আমি বলতে পারব না। এটা সম্ভবত আমাদের যে ডাইরেক্টর অ্যাকাউন্টস আছেন উনারা বলতে পারবেন, এ সময় টাকাটা কোথায় রেখেছেন।’

এদিকে, হিসাব পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া তথ্য দিতে রাজি হননি। ঢাবি হিসাব পরিচালক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘সব টাকার হিসাব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে অডিট করা হয়। হিসাবের কোনো সমস্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।’

কোষাধ্যক্ষ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি নন। তবে এসব টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক ও বিভিন্ন দিবস পালন করা হয়েছে। ডাকসু না থাকলেও তো এসব কর্মকা- পালিত হয়েছে। সেগুলো শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এ টাকা ব্যয় হয়েছে।’

ডাকসু নেতারা বলছেন, ডাকসু সচল হয়েছে। স্বচ্ছতার জন্যই এ হিসাব দরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close