মার্কিন সমর্থনপুষ্ট উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানে সামরিক কুচকাওয়াজে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা যে তিনি ইরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের দিকেই আঙুল তুলেছেন।

গত শনিবার ওই হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন সৈন্য এবং বাকিরা কুচকাওয়াজ দেখতে আসা সাধারণ নাগরিক। নিহত বেসামরিক লোকজনদের মধ্যে চার বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে। খবর বিবিসির। এ সপ্তাহেই জাতিসংঘের এক সাধারণ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে হাসান রুহানির দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইরানের খুজেস্তান প্রদেশে ওই সন্ত্রাসী হামলার পরই দুটি গোষ্ঠী এই হামলার কৃতিত্ব দাবি করেছিল। এর একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস বা ইসলামিক স্টেট। অন্যটি খুজেস্তানভিত্তিক একটি স্থানীয় আরব মিলিশিয়া গোষ্ঠী, যারা দাবি করে ইরানে আরবদের অধিকারের পক্ষে তারা লড়াই করছে। তবে কোনো গোষ্ঠীর তরফ থেকেই তাদের দাবির পক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ হাজির করা হয়নি।

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, কারা এই হামলার পেছনে আছে, এদের সঙ্গে কাদের সম্পর্ক, তা তাদের কাছে পরিষ্কার। তিনি অভিযোগ করেন, উপসাগরীয় এসব রাষ্ট্র আর্থিকভাবে, অস্ত্র দিয়ে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এই হামলাকারীদের সমর্থন করেছে।

তার ভাষায়, এসব ক্ষুদ্র পুতুল রাষ্ট্র আমেরিকার সাহায্য পাচ্ছে, আমেরিকা তাদের উষ্কানি দিচ্ছে। এর আগেও তেহরান সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ তুলে বলেন, দেশটি ইরানের ভেতরে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতায় সমর্থন দিচ্ছে। ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার ও বড় ধরনের শক্তি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দুটো দেশের মধ্যেই গত কয়েক দশক ধরে প্রতিযোগিতা চলছে। বলা যায় সিরিয়া ও ইয়েমেনকে কেন্দ্র করে এই দুটো দেশ কার্যত এক ধরনের ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে এই দুটো দেশের মধ্যে উত্তেজনা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

"