প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

নেপাল-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক প্রভাব কমবে ভারতের

নেপালকে চারটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিতে যাচ্ছে চীন। এই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে বাণিজ্য। এতে নেপালের অর্থনীতিতে ভারতের প্রভাব কমবে। গত শুক্রবার নেপাল সরকার এ তথ্য জানায়। হিমালয়ের এ দেশটি ভারতের একচেটিয়া বাণিজ্য শেষ করতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে। ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী এ দেশটি জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্যও নেপালকে ভারতের বন্দর ব্যবহার করতে হয়। নেপাল নিউজ ও কান্তিপুর অনলাইন গতকাল শনিবার এ খবর জানায়। কাঠমান্ডু ভারতের ওপর নির্ভরতা কমাতে চীনের বন্দর ব্যবহারের জন্য সুযোগ চেয়ে আসছিল। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সীমান্ত সমস্যার কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে নেপালে জ্বালানি ও ওষুধের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরপরই নেপাল ভারতের বিকল্প খুঁজতে থাকে। গত শুক্রবার কাঠমান্ডুতে এক বৈঠকে নেপাল ও চীনের মধ্যে ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়। নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নেপাল চীনের তাইঝিন, শেনঝেন, লিয়ানয়ুগাং ও ঝানঝিয়াং বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ ছাড়া চীন নেপালকে তাদের লানঝো, লাহাসা ও সিগতসে স্থলবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। খসড়া যেহেতু সই হয়েছে তাই খুব দ্রুতই তা বাস্তবায়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এক সরকারি কর্মকর্তা। তবে কোন তারিখে হবে তা তিনি বলেননি।

নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রবি শঙ্কর বলেন, ভারতের দুইটি বন্দরের পাশাপাশি আমরা চীনের চারটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছি। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানির সময় চীনের বন্দর ব্যবহার করলে সময় ও খরচ দুই-ই কমবে। এখন স্থলপথে বাণিজ্য করতে গিয়ে নেপালকে ভারতের কলকাতা বন্দরের ওপর মূলত নির্ভর করে থাকতে হয়। এতে তিন মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। দিল্লি নেপালের বাণিজ্যের জন্য তাদের বিশাখাপত্তনম বন্দরও খুলে দিয়েছে।

তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন পরিকল্পনা অনুযায়ী চীনের সঙ্গে যুক্ত হতে গিয়ে নেপালকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে। কারণ তাদের চলাচল উপযোগী পর্যাপ্ত সড়ক নেই। এমনকি নেপাল সীমান্তে কাস্টমস অবকাঠামোও নেই। চুক্তি অনুযায়ী চারটি বন্দরের মধ্যে সবচেয়ে কাছেরটিও নেপাল সীমান্ত থেকে ১৬০০ কিলোমিটার দূরে। একজন রফতানিকারক বলেন, চীনের বন্দর স্বচ্ছন্দে ব্যবহারের জন্য নেপালকে অবশ্যই যথাযথ অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। এসব ছাড়া বন্দর উন্মুক্ত করলেও কোনো লাভ হবে না। সাহায্য ও বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে চীন নেপালে তাদের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছে। আর এর ফলে দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকারী ভারত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close