নিজস্ব প্রতিবেদক
নারীকে ফাঁদ বানিয়ে অপহরণ : গ্রেফতার ৫
ব্যবসায়ী বা বড় টাকার মালিক অস্ত্রের মুখে অপহরণ করার মতো ঘটনা অহরহই শোনা যায়। কিন্তু চার দিন আগে পুরান ঢাকার বাসিন্দা একটি সিমেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তাকে অভিনব কায়দায় অপহরণ করে একটি চক্র। টানা দুই দিনের চেষ্টায় অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অপহৃত ওই ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। অপহৃত ব্যক্তির নাম আবদুল হক রাজ। তিনি শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানিতে এস আর পদে চাকরি করেন। এর আগে গত রোববার টঙ্গী ও উত্তরা কামারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হলেন সবুজ, বশির, ফারুক, লাভলু ও জালাল মিয়া। গতকাল সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তিনি জানান, গত ১২ জুলাই আশা নামের এক মেয়ে তাকে ফোন করে কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য সিমেন্ট লাগবে বলে গেন্ডারিয়ার সোনালী নুপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ডেকে নেয়। ওই নারী জানায়, তার কনস্ট্রাকশনের সাইট টঙ্গীর দত্তপাড়ায়। কি পরিমাণ সিমেন্ট লাগবে তা নিশ্চিত হতে সাইট পরিদর্শন করতে হবে। একপর্যায়ে রাজকে টঙ্গীর দত্তপাড়ার একটি তিনতলা বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। তারা রাজকে জিম্মি করে ফেলেন।
ডিসি ফরিদ উদ্দিন বলেন, অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা রাজকে জোর করে আটকে রেখে ভয়ভীতি ও মারধর করে। মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকার জন্য রাজকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি চলে যায়। অপহরণ চক্রের সদস্যরা তা বুঝতে পেরে রাজকে নিয়ে স্থান পরিবর্তন করে। এরপর ১৫ জুলাই উত্তরার কামারপাড়ার একটি বাসায় আটকে রাখে। মুক্তিপণের টাকার জন্য রাজকে নির্যাতন করতে থাকে। পরে পুলিশ সেখানেও অভিযান চালায় এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে রাজকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় বশির, ফারুক ও জালালকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে টঙ্গী থেকে সবুজ ও লাভলুকে গ্রেফতার করা হয়। ওয়ারীর ডিসি বলেন, চক্রটির নারী সদস্য আশা এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ওই ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
"