মো. শাহ আলম, খুলনা

  ২৩ জুন, ২০১৮

বিশেষজ্ঞ ছাড়াই চলছে দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামার

নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের একমাত্র সরকারি মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান মোংলা সমুদ্রবন্দরের অদূরে মহাসড়কের পাশেই ফকিরহাটের পিলজঙ্গে। মহিষের প্রজনন বৃদ্ধি এবং দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটাতে ৩৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি চলছে বিশেষজ্ঞ ছাড়াই। রয়েছে জনবলের ঘাটতি। সেখানে আছে মাত্র একজন চিকিৎসক, তিনিই আবার প্রশাসনিক কর্মকর্তা।

এ প্রতিষ্ঠানের আয়তন ৮০ একর। ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, হাতিয়া, লক্ষ্মীপুর, চরফ্যাশন, যশোরের কেশবপুর, বাগেরহাটের ফকিরহাট, চিতলমারী, শরণখোলা, খুলনার ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া, ফুলতলা, তেরখাদা, সাতক্ষীরার দেবহাটা ও কালীগঞ্জ উপজেলা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া ও শরীয়তপুর ইত্যাদি স্থানে মহিষ প্রজাতির বংশবিস্তার, মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা হয় ১০০ মহিষ নিয়ে। বর্তমানে মহিষের সংখ্যা ৫৪০টি। প্রতি বছর ৭৫-৮০টি বাচ্চা দেয়। ইতালিয়ান মোররা প্রজাতির মহিষ এ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে আড়াইশ লিটার দুধের জোগান দেয়। জনবলের দিক দিয়ে প্রায় ১২টি পদ শূন্য রয়েছে। ভেটেরিনারি সার্জন নেই। একজন পশু চিকিৎসক তিনিই ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একাধিক শেডে মহিষ রাখা আছে। বাড়ন্ত, এঁড়ে, মাদি মহিষের পাশাপাশি বাচ্চাদেরও জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শেড। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শেডেই খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয় মহিষের। সঙ্গে সঙ্গে দিনে একবার করে মহিষ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে চরাতে নেওয়া হয়। আর মহিষের খাবারের জন্য খামার চত্বরের প্লান্টেই রোপণ করা হয়েছে নেপিয়ার এবং জার্মান জাতীয় ঘাস।

প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, মহিষের বংশবিস্তারের জন্য মোররা প্রজাতি ছাড়াও পাকিস্তানের লিনিরাহি প্রজাতির মহিষের সিমন এনে প্রজনন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে দক্ষিণাঞ্চলে আগ্রহী কৃষকদের মধ্যে বাজারদরের চেয়ে অর্ধেক দামে ১০০টি এঁড়ে মহিষ বিক্রি করা হয়েছে। এ প্রজনন কেন্দ্রে পশুর খাবারের জন্য বছরে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। তার দেওয়া তথ্যমতে, বিশেষজ্ঞ নেই। তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়। উৎপাদিত দুধ প্রজনন কেন্দ্র থেকে জনসাধারণের কাছে বিক্রি করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি পূর্ণবয়স্ক মহিষ প্রতিদিন সর্বনি¤œ চার কেজি থেকে সাত কেজি পর্যন্ত দুধ দেয়। দিনে একবার করে দুধ দোয়ানো হয়। অপর কর্মচারী নিখিল দাস ও গণেশ দাস বলেন, মহিষকে সকালে সুষম খাবার, দুপুরে ঘাস এবং বিকেলে খড়কুটো খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রে রোপণকৃত নেপিয়ার এবং জার্মান জাতীয় ঘাস মহিষকে খেতে দেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist