খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় মাদকের পৃষ্ঠপোষক দুই কাউন্সিলর!
বিভাগসহ খুলনা মহানগর ও জেলায় তালিকাভুক্ত মাদকের ব্যবসায়ী, ডিলার, চোরাকারবারি, পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের তালিকায় রয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনর্বাচিত দুজন কাউন্সিলরের নাম। গত ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসির নির্বাচনে জয়ী এ দুজন জনপ্রতিনিধির নাম গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় উঠে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা মাদককারবারি, ডিলার, চোরাকারবারিদের পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা। এ দুজন ২০১৩ সালেও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে এ দুজনের বিরুদ্ধে আগে মাদক-সংক্রান্ত কোনো মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে মাদক নিয়ন্ত্রণে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) হার্ডলাইনে রয়েছে। যেকোনোভাবেই এবার সারা দেশে মাদক ব্যবসা সংকুচিত করতে কঠোর অবস্থানে সংস্থাটি।
গত ৩ মে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকার র্যাব সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ তাদের বক্তব্যে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেন। এ ছাড়া ১৪ মে র্যাবপ্রধানের বক্তব্যে মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য আরো বড় ধরনের বিপৎসংকেত দেওয়া হয়। গত শনিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। এদিকে গত ১৬ দিনে খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে র্যাবের ক্রসফায়ারে ১৬ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
খুলনায় মাদকে জড়িত পাচারকারী, ডিলার, খুচরা বিক্রেতাদের একাধিক তালিকা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। এ তালিকার অন্যরা হলেন মো. বাবুল শেখ, মো. সামছু, গদা ইউনুচ মুন্সি, মো. ভাষাণ, সেলিম মুন্সি, আরাফাত সানি সোহাগ, কামরুল মাতুব্বর, মো. রাকিব মোড়ল, শেখ খালেদ হোসেন, এফ এম জাহিদ হাসান জাকির, বাদশা মিয়া, হেলাল শরীফ, আ. রাজ্জাক শেখ, ৫ নম্বর দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান জিবলু, আড়ংঘাটা উত্তরপাড়া এলাকার মৃত ডা. রহিম মোড়লের ছেলে মো. কাওছার মোড়ল। এদিকে তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
"