নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন
সমন্বয় নিয়ে মুখ খুললেন মেয়র সাঈদ খোকন
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, জলাবদ্ধতা ও খোঁড়াখুঁড়িসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ৫৬ সংস্থার প্রতিনিধি সভা আহ্বান করা হলে দু-তিনজন প্রতিনিধি আসেন। এছাড়া সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এমন কাউকে পাঠানো হয় যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের কেউ সভাতে আসেন না। যদি এমন হয় তাহলে সমস্যাগুলোর সমাধান হবে কীভাবে?
গতকাল বুধবার ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে নগর ভবনের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালসহ সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে সাঈদ খোকন বলেন, গত দুই বছর আগেও শান্তিনগরে ১ ঘণ্টা বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন হতে সময় লাগত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা। আর এখন টানা ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও শান্তিনগরে পানি জমে না। এছাড়া নাজিমুদ্দিন রোডেরও একই অবস্থা। এখানে ড্রেন নির্মাণের কাজ ৯০ শতাংশ শেষ। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে বাকি কাজটুকু শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ ওই এলাকায় ১ ঘণ্টা বৃষ্টি হলেও জলাবদ্ধতা হবে না। এছাড়া সিটি করপোরেশনের অন্য এলাকায় জলাবদ্ধতার নিরসনের জন্য ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা বা পূর্ণবয়স্ক মশা পেলে জেল-জরিমানার ঘোষণা থেকে সরে এসে মেয়র বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের মনিটরিং টিম প্রতিটি ওয়ার্ডে যাবে কোনো বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সেটা ধ্বংস করবে। পাশাপাশি বাসাবাড়ির মালিকদের সচেতন করা হবে যেন মশার বংশবিস্তার না ঘটে। এরপর একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন।
"