কক্সবাজার প্রতিনিধি
ব্রিটিশ সাংবাদিকের বাংলা চ্যানেল জয়
কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক বেকি হর্সবো। গতকাল রোববার সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে বেকি হর্সব্রো, মুসা ইব্রাহীম ও মো. ওয়াছিয়ুর রহমান যাত্রা শুরু করেন। চ্যানেলের ১৬.১ কিলোমিটার জলপথ বেকি হর্সব্রো পাড়ি দিতে পারলেও মুসা ইব্রাহীম ও মো. ওয়াছিয়ুর রহমান পায়ে মাছের আঘাতের কারণে ১ ঘণ্টা পর নৌকায় উঠে পড়েন। বেকি হর্সব্রো ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে সেন্টমার্টিন পৌঁছেন। সাঁতারে দলনেতা হিসেবে ছিলেন, ওভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীম।
এ বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন কীর্তিমান ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার মরহুম কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকা বেজ ক্যাম্পের তিনজন অ্যাডভেঞ্চার যুবক ফজলুল কবীর সিনা, লিপটন সরকার ও সালমান সাঈদ প্রথমবার এই চ্যানেল অতিক্রম করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর কাজী হামিদুল হকের স্মরণে এ সাঁতারের আয়োজন করা হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
সাঁতার শেষে সাংবাদিক বেকি হর্সব্রো বলেন, তার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর এমন উচ্চহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং শিশুদের সাঁতার শিক্ষা প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা। এছাড়া তিনি বাংলা চ্যানেলকে ব্রিটিশদের কাছে সুপরিচিত করে তুলতে চান। পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ‘ক্রীড়াপ্রেমী’ দেশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চান।
তিনি আরো বলেন, এবার তিনি সফল হয়েছেন, তাই তিনি আগামীতে তার যুক্তরাজ্যের সাঁতারপ্রেমী বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে আবার বাংলাদেশে আসবেন । তার জন্য এটি একটি চমকপ্রদ মুহূর্ত। এটা তার ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ।
বেকি হর্সব্রো এপির এশিয়া প্রযোজক হিসেবে লন্ডন অফিসে কমর্রত রয়েছেন। তিনি সাঁতারের একজন দক্ষ প্রশিক্ষক। এর আগে তার টানা নয় কিলোমিটার সাঁতারের রেকর্ড থাকলেও এবারই প্রথম টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনসের ১৬ কিলোমিটারের জলপথ পারি দিলেন।
"