সাধক হতে শত কোটি রুপির ব্যবসা ছাড়লেন!
সমৃদ্ধিশালী পরিবারের সন্তান। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হওয়ার পর পরিবারের ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব তার কাঁধে আসে। এত দিন তার নেতৃত্বেই চলছিল শত কোটি রুপির ব্যবসা। তার জীবনযাপনও চলছিল রাজকীয় হালে।কিন্তু ‘আত্মার শান্তিই’ মিলছিল না। কী করতে হবে? কী করতে হবে? ভাবতে ভাবতেই পরামর্শ পান সাধনার। জাগতিক সব লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে সত্যিকারার্থে ‘সাধক’ হতে পারলে নাকি আত্মার পরিতৃপ্তি মেলে।
এই পরিতৃপ্তির জন্য শত কোটি রুপির ব্যবসা এবং সিএ মর্যাদা ও ভোগবিলাসের জীবন ছেড়ে দিয়েছেন গুজরাটের গান্ধীনগরের ২৪ বছরের তরুণ মোকশেস শেঠ। গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি তার জাগতিক দায়-দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে ‘জৈন সাধকের’ জীবন বেছে নেন। মুম্বাইয়ে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সন্দীপ শেঠের বড় সন্তান মোকশেস সাধকের জীবন শুরুর পর থেকেই ‘করুণাপ্রেমবিজয় জি’ হিসেবে পরিচিত হবেন।
জৈন সম্পদ্রায়ের এ যুবক সাধকের জীবন বেছে নেওয়ায় পরিবার-প্রিয়জন বা জাগতিক অন্য সব মায়া থেকে আবেগ-অনুভূতি বিসর্জন দেবেন। মোকশেসের পরিবার মূলত গুজরাটের বনসকণ্ঠ জেলার দিসা শহরের আদিনিবাসী হলেও এখন মুম্বাইয়ে থাকছে। এখানে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা রয়েছে তাদের।
প্রথম দফার চেষ্টায়ই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়ে যাওয়ার পর মোকশেস তার পরিবারের শত কোটি রুপিরও বেশি মূল্যের ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। বছর দুই ধরে তার হাতে পরিচালিত ব্যবসা ক্রমে উন্নতি দেখছিল। কিন্তু এই উন্নতিকে যে ‘আত্মোন্নতি’ মনে করছিলেন না মোকশেস। সেজন্যই কি না বেছে নিলেন সাধকের জীবন।
পিডিএসও/তাজ