ট্রাম্পের পর্ন ভিডিও!
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনলাইনে এক ধরনের পর্ন ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। ‘ডিপ ফেক’ নামে এসব ভিডিওতে কোনো একজন অভিনেত্রী বা তারকার মাথা আরেক জনের দেহে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব পর্নে এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেহারাও ব্যবহার করা হয়েছে।
অবস্থা এমন হয়েছে যে, জিফিক্যাট নামের একটি ইমেজ হোস্টিং সাইট এসব ভিডিও মুছে দেওয়ার কাজে নেমেছে। সানফ্রান্সিসকো ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা এরকম অনেক আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেট থেকে মুছে দিয়েছে।
অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যান, নাটালি ডোরমার, এমা ওয়াটসন, গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ড- এরকম একাধিক তারকার মুখ আরেকজনের ঘাড়ে বসিয়ে দিয়ে তৈরি করা পর্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানো হয়েছে। এমনকি সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প, প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটনের চেহারা জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের ভুয়া ভিডিও তৈরির এক নতুন প্রযুক্তি সহজপ্রাপ্য হয়ে যাওয়ার ফলে এখন লোকে তাদের যৌন কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেকঅ্যাপ নামের একটি সফটওয়্যার।
একজনের শরীরে আরেক জনের মাথা বসানোর এই ভিডিও সফটওয়্যারের ডিজাইনার বলেছেন, তার তৈরি সফটওয়্যারটি এক মাসেরও কম সময় আগে ছাড়া হয়েছে। এবং এর মধ্যেই তা ডাউনলোড হয়েছে এক লাখেরও বেশি। এরকম ছবি বা ভিডিও আগে বানাতে হলে দরকার হতো হলিউডের একজন দক্ষ সিনেমা সম্পাদক ও বিপুল পরিমাণ টাকা। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহারে বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে গেছে।
এখন এক ব্যক্তির কয়েক শ ছবি, আর একটি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও হলেই সফটওয়্যার বাকি কাজ করে দেবে। তবে এক্ষেত্রে একটা ছোট ভিডিও ক্লিপ বানাতে সময় লাগে ৪০ ঘন্টা বা তারও বেশি। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসব ডিপ ফেক বা ভুয়া পর্ন ভিডিওর জন্য ইন্টারনেট সার্চিং খুব বেড়ে গেছে।
পিডিএসও/তাজ