বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বন্ধের পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশ ও ভারতের বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।

জানা গেছে, ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গত বুধবার থেকে গত রবিবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

টানা পাঁচ দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় এতে সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় পিছিয়েছে। বন্দরেও জমেছিল পণ্যজট। এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করবে পণ্য জট।

এদিকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আবারও কর্মব্যস্ততা ফিরেছে। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীসহ বন্দর, কাস্টমসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বন্দর শ্রমিকরা।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশেই সরকারি ছুটি ছিল। তবে এসময় ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম চালু হয়েছে। পণ্য লোড-আনলোড দ্রুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০০ ভারতীয় ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি, ২০০ ট্রাকের মতো পণ্য রপ্তানি হয়। আর বন্দর থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য খালাস হয়। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটির মতো। আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ৭ দিনে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবার কথা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন বন্ধ থাকে আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য খালাস কার্যক্রম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close