তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

চ্যাটজিপিটি যেভাবে কাজ করে

প্রতিনিয়তই আসছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি। তবে কয়েক বছর ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দাপট দেখাচ্ছে। বর্তমানে ওপেন এআই এর দুনিয়ায় সবচেয়ে আধুনিকতম সংযোজন হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। চ্যাটজিপিটির ব্যাপক সাড়ার ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণাও দিয়েছে গুগল।

মূলত চ্যাটজিপিটি একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক সার্চ টুল। এর আগে ওপেন এআই ক্ষেত্রে সাড়া ফেলেছিলো ডল-ডি। এটি ছিল একটি ওপেন এআই ইমেজ জেনারেটর। যা টেক্সট থেকে ছবি তৈরি করতে সাহায্য করত। তবে গত বছর নভেম্বর মাসে চ্যাটজিপিটির আগমনের ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় টেক উৎসাহীদের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কী এই চ্যাট জিপিটি? এই প্রযুক্তি নিয়ে সবাই এত উদ্দীপিত কেন? চলুন কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

চ্যাটজিপিটি কী : চ্যাটজিপিটি হলো একটি চ্যাট বট। যা আমরা মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে দেখে থাকি। তবে এটির গঠন এবং কাজ করার পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। এই চ্যাটবট তৈরি করা হয়েছে জেনারেটিভ প্রিট্রেইনড ট্রান্সফরমার-৩ এর ওপর ভিত্তি করে। এটি একটি অত্যাধুনিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ এআই মডেল। যা ওপেন এআই দ্বারা তৈরি হয়েছে। এই চ্যাটবট মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করতে সক্ষম। ব্যবহারকারী যেকোনো প্রশ্নের উত্তর খুব গঠনমূলক এবং সহজভাবে প্রদর্শন করে এই চ্যাটবট।

যেসব সুবিধা থাকছে চ্যাটজিপিটির : এআই মডেলের দ্বারা তৈরি চ্যাটবট সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং যুক্তি-যুক্তভাবে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। ফলে উক্ত ব্যবহারকারী বুঝতে সুবিধা হয়। কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ছাড়াই কাজ করে এই চ্যাটবট। এই চ্যাটবট আপনার জন্য কবিতা লিখে দিতে পারে, আপনার পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতে পারে, অর্থনীতি-রসায়ন থেকে শুরু করে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম এই চ্যাটবট।

যেভাবে কাজ করে চ্যাট জিপিটি : ওপেন এআই চ্যাটবট ইন্টারনেটে উপলব্ধ টেক্সট ডেটাবেইজ থেকে তথ্য গ্রহণ করে কাজ করে। ইন্টারনেটে থাকা ওয়েব পেজ, ওয়েব টেক্সট, বই, উইকিপিডিয়া, আর্টিকেলসহ বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রায় ৫৭০ জিবির বেশি ডেটা সমৃদ্ধ এই চ্যাট জিপিটি। শুধু তাই নয় এই চ্যাট বটে রয়েছে ৩০০ বিলিয়ন শব্দের ভাণ্ডার। পাশাপাশি এটি একটি বাক্যের পরবর্তী শব্দটি কী হওয়া উচিত তা অনুমান করতেও সক্ষম।

আপনি যদি চ্যাট জিপিটিতে গিয়ে সার্চ করেন হোয়াট ইস ইনফ্লাশন? সে তার যথোপযুক্ত নির্ভুল উত্তর দেবে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। উত্তরটি যদি কোনো কারণে ভুল হয় তাহলে পুনরায় নিযুক্ত থাকা কর্মীরা প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সিস্টেমে ইনপুট করে দেয়। ফলে চ্যাট জিপিটির জ্ঞানের ভাণ্ডার ক্রমশ বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময়ে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর আরো দ্রুত ও নির্ভুল দিতে পারে সে।

চ্যাটজিপিটির অসুবিধাও আছে : কিছু সুবিধা থাকলেও চ্যাটজিপিটি নিয়ে এখনো নিশ্চিত নয় অনেকেই। মূলত, এই চ্যাট বটে কেবল টেক্সট রেজাল্ট পাওয়া যায়। ভিডিও বা ভিজ্যুয়াল রেজাল্ট আসে না। শুধু এটা নয়, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে এটি উত্তর দিতে সক্ষম নয়। কারণ এটির সিস্টেমে যে ডেটাবেইজ রয়েছে তা তুলনামূলক পুরোনো। তা ছাড়া এটির সিস্টেমে যে ডেটাবেইজ রয়েছে সেই অনুযায়ী এটি উত্তর প্রদর্শন করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close