নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুরোনো আইনের বাংলা খসড়া প্রস্তুত

প্রচলিত আইনগুলো বাংলায় ভাষান্তরিত করার দাবি দীর্ঘদিনের। সময়ে সময়ে এই দাবি সামনে এলেও এর বাস্তবায়ন দেখা গেছে খুবই কম। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং বিচারপ্রার্থীদের কাছে বিচার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলে ধরার জন্য আইন বাংলা করার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অবশেষে ১৫০ বছরের পুরোনো ‘সাক্ষ্য আইন’ বাংলায় ভাষান্তর করে খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এর অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ অংশগুলোও চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ আইন কমিশন। খসড়াটির বাস্তবায়ন করা গেলে তা বিচারপ্রার্থীদের জন্য অনেক সহায়ক হবে বলেও মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

আইন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এই অঞ্চলে ‘সাক্ষ্য আইন’ প্রথম কার্যকর হয় ১৮৭২ সালের ১ সেপ্টেম্বর। ব্রিটিশ আমলে প্রণীত এই আইনটি পরবর্তী সময়ে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ নামে পরিচিত হয়। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর ‘ভারতীয়’ শব্দটি বিলুপ্ত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনটি দেশের বিচার ব্যবস্থায় অন্যতম ‘পদ্ধতিগত আইন’ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিভিন্ন বিচার আদালতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচারকার্য পরিচালিত হয়ে আসছে এই আইনের ওপর ভিত্তি করে। তবে আইন কমিশন মনে করছে, যুগ ও সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধ ও সামাজিক বিরোধের ধরন ও প্রকৃতি পরিবর্তিত হচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বিরোধ ও অপরাধের ধরন পাল্টেছে, বিস্তৃতি লাভ করেছে। এসব পরিবর্তনের সঙ্গে সংগতি রেখে বিদ্যমান সাক্ষ্য আইনসহ অন্যান্য আইন আরো যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। এটা দরকার এই কারণে যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

জানা গেছে, সাক্ষ্য আইনের খসড়া তৈরিতে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা, উচ্চ আদালতের সাবেক বিচারপতিরা, জেলা জজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবীসহ ৩৫০ অংশীজনের মতামত আহ্বান করা হয়। এদের অনেকেই মতামত দেন। সেই মতামত পর্যালোচনা করে কমিশন খসড়া প্রণয়ন করেছে। এরই মধ্যে খসড়ার একটি কপি আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিশন এই খসড়া প্রস্তুত করেছেন। কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর।

দেশের প্রচলিত আইনগুলোর মধ্যে সাক্ষ্য আইনটিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেসব গুরুত্ব বিবেচনায় প্রস্তাবিত সাক্ষ্য আইনের খসড়ায় দোষ স্বীকারোক্তির সুস্পষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ‘বাংলাদেশে যত আইন আছে, তার মধ্যে সাক্ষ্য আইন অন্যতম জটিলতম আইন। বাস্তবে একজন আইনজীবী বা আদালতের জন্য সাক্ষ্য আইনকে সঠিকভাবে বোঝা কঠিনতম বিষয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close