পটুয়াখালী প্রতিনিধি

  ০৬ আগস্ট, ২০২২

পটুয়াখালীতে নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীর

পটুয়াখালীতে খরস্রোতা পায়রা নদীর কড়াল গ্রাসে ভাঙনকবলিত ছোটবিঘাই ও মাদারবুনিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (দক্ষিণ জোন) প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এ এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম, পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম শাহজাহান পারভেজ (শাহজাহান ভুঁইয়া), ছোটবিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলতাফ হোসেন হাওলাদার, ছোট বিঘাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মল্লিকসহ বিপুলসংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী মানুষ।

যুগ যুগ ধরে খরস্রোতা পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ভাজনা, ফুলতলা, বিশ্বাসের হাট ও ভুতুমিয় এবং মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম হাটবাজার, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল এবং বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সিডর, আইলা, নার্গিসসহ বিভিন্ন সময় বন্যা ও প্লাবনে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। বর্তমানে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢোকে অর্থকরি ফসল বিনষ্ট হয়ে কোটি কোটি টাকার লোকসানের শিকার হয় ছোটবিঘাই, বড়বিঘাই ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে পায়রা নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারা হয়ে কৃষি পেশা ছেড়ে বিভিন্ন শহরে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে শত শত পরিবার। এলাকার শত শত হেক্টর ফসলি জমি ও বাপ-দাদার ভিটাবাড়িসহ নানা স্থাপনা নদীতে চলে গেছে। তাই আর আশ্বাস নয়, এর দ্রুত উত্তরণ চান ক্ষতিগ্রস্তরা।

ওই ভাঙকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী, মানুষের কষ্ট লাঘবে এবং কল্যাণে আন্তরিক আছেন। দ্রুতই এর সমাধান হবে বলে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগীদের আশ্বাস দেন প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, যুগ যুগ ধরে পায়রা নদীর ভাঙনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পোল্ডার ৪৩/২-এ প্রায় সম্পূর্ণ নদীর্তে বিলীন হয়ে গেছে।

সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ওই এলাকা ভাঙনরোধে আপাতত ৫ কিমির দীর্ঘ নদীর তীর সংরক্ষণে সিসি ব্লক দ্বারা বেড়িবাঁধ নির্মাণে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এটা একটা বড় প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আনুমানিক প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে ধারণা করছেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close