মো. শাহ আলম, খুলনা

  ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

খুলনায় খুলছে দেড় হাজার স্কুল

খুলনা মহানগর ও জেলার দেড় হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু এবং ছুটির ঘণ্টা শোনা যাবে আজ। এর আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্যাঁতসেঁতেভাব, পলেস্তারা খসে পড়া, রঙ উঠে যাওয়া, ক্লাস রুমে মাকড়শার জালে আচ্ছন্ন, টিনের চাল ঝড়ে উড়ে যাওয়ার মতো এলোমেলো অবস্থা গুছিয়ে এনেছে কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, জেলায় ১ হাজার ১৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ১৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাকিগুলো জেলার ৯টি উপজেলায়।

গতকাল শনিবার খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। একজন শ্রমিক মাঠের ঘাষ কেটে পরিষ্কার করছেন। আর ক্লাস চালুর বিষয়ে শিক্ষকরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।

নগরীর সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয়েও শেষ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দেখা গেছে। শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। নোটিস বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্লাস রুটিনও। অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক এসে এসব প্রস্তুতি দেখছেন এবং সর্বশেষ খোঁজখবর নিচ্ছেন।

নয়াবাটি হাজী শরীয়তুল্লাহ বিদ্যাপীঠ স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. কালাম হোসেন বলেন, প্রায় ১৭ মাস পর স্কুল খুলছে, আবারও শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে। তাছাড়া এত দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা শ্রেণি পাঠদান থেকে দূরে ছিল। যে কারণে তাদের মধ্যে একটি প্রভাব ফেলেছে, ধীরে ধীরে এর প্রভাব দূর করতে হবে।

খালিশপুর বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন স্কুল চত্বরে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা ছিল না। অনেক শ্রেণি রুম বন্ধ থাকায় ময়লা, আবর্জনা, বিদ্যুৎ সমস্যাসহ, ঘাষপাতা জঙ্গলে, জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছিল। আমরা ক্লাস রুমসহ শ্রেণিকক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছি। সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ মাস্ক পরিধান করে স্কুলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি সব কিছু আগের মতো চলমান থাকবে।

খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম সিরাজুদ্দোহা জানান, শহরের অভ্যন্তরে কয়েকটি স্কুলে ক্লাস নেওয়ার পর্যায়ে নেই। আগে থেকেই এগুলো খারাপ অবস্থায় ছিল। গেল করোনার সময় কোনো ক্লাস না হওয়া এবং ব্যবহার না হওয়ায় এসব স্কুলের ভবনের পলেস্তারা ও ইট খসে খসে পড়ছে। এই ৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী স্কুলে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

খুলনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, আম্পান ঝড়ে কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এসব স্কুল সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন ক্লাস শুরুর অপেক্ষা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close