নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২১

ছুটির দিনেও বর্জ্য অপসারণ

ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল হতে মুক্তি দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষিত ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ, চ্যানেল পরিষ্কারকরণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম হয়েছে।

গতকাল শনিবার জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল হতে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে জিরানী খাল হতে গত ১৫ কর্মদিবসে (গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, আজকের হিসাবে এখনো হালনাগাদ করা সম্ভব হয়নি) ৩২ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে। ত্রিমোহনী হতে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিগত ১৫ কর্মদিবসে জিরানী খালের দেড় কিলোমিটার অংশ হতে এই বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল মান্ডা খালের মান্ডা ব্রিজ হতে কদমতলী অংশের প্রায় ৩০০ মিটার খালের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। কার্যক্রমে করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারসহ কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন।

এ ছাড়া চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে গত ২০ কর্মদিবসে (গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত) ২৯টি পিট থেকে ১ হাজার ১১০ দশমিক ৮৯ টন এবং সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে গত ১৮ কর্মদিবসে কালভার্টের ৪০টি পিট থেকে ৫১৯ দশমিক ৯৭ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। আর গতকাল নগরীর মান্ডা খাল ও শ্যামপুর খাল হতে এবং টিটিপাড়ার ওয়াসা পাম্প হাউসের মধ্যকার বর্জ্য ম্যানুয়ালি অপসারণ কার্যক্রম হয়েছে।

ছুটির দিনেও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রাখা প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, মেয়র ৩১ মার্চের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন দুটি বক্স কালভার্ট ও তিনটি খাল হতে বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে সেগুলোতে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা পূরণে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য কাগজে-কলমে সপ্তাহে এক দিনই আমরা ছুটি নিচ্ছি। শনিবার দাপ্তরিকভাবে ছুটির দিন হলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কার্য সম্পাদনের স্বার্থে আমরা কেউ সেই ছুটি উপভোগ করছি না। সময়ানুযায়ী কাজটি শেষ করাটাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।

এ প্রসঙ্গে করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ডিএসসিসি মেয়রের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম শেষ করতে ছুটির দিনেও কাজ করা হচ্ছে। আমি নিজেও কাজ করছি, আমাদের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close