পাবনা প্রতিনিধি

  ০৭ জুন, ২০২০

পাবনায় স্ত্রী-কন্যাসহ ব্যাংক কর্মকর্তা খুন

সম্পত্তি নিয়েই হত্যাকাণ্ড সন্দেহ করছে পুলিশ

পাবনা শহরে অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা, তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন রাব্বি নামে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার পালিত ছেলেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সন্দেহভাজন আরো জড়িতদের খুব শিগগিরই আটক করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এটি কোনো ডাকাতির ঘটনা নয়। সম্পত্তি নিয়েই হত্যাকান্ডটি হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল কাদের বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, পাবনা শহরের দিলালপুর এলাকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পশ্চিম পাশে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল জব্বার। ওই বাসাতেই দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন স্ত্রী মেয়েসহ তিনি। তার ভাইরা ফিরোজও একই এলাকার কমিশনার। আবদুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের পাইকরহাটি গ্রামে। শহরের শালগাড়িয়া মহল্লায় তার একটা বাড়ি আছে। গত শুক্রবার ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জব্বার (৬৪), তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন (৫৮) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন জয়া (১৪)। ওই বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সন্দেহভাজন রাব্বি নামের পালিত ছেলেকে আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছেন এটি কোনো ডাকাতির ঘটনা নয়। সম্পত্তি নিয়েই এই হত্যাকান্ডটি হয়েছে। নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, তারা ব্যক্তি জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন। পরে সানজিদাকে দত্তক নিয়েছিলেন। আমার ভাই খুবই শান্ত প্রকতির লোক ছিলেন, কারোর সঙ্গে ঝামেলায় যেতেন না।

নিহতের বোন নাজমা খাতুনেরও ধারণা সম্পত্তির কারণে কেউ তাদের হত্যা করেছে। পাবনা সদর থানার ওসি নাসিম উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে রাব্বি নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকেও আবদুল জব্বার এক সময় দত্তক নিয়েছিলেন। তবে বখে যাওয়ার কারণে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই ক্লু উদ্ঘাটন হবে। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close