নওগাঁ প্রতিনিধি

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২০

বিএসএফের গুলিতে আরো ৩ বাংলাদেশি নিহত

নওগাঁর পোরশার হাঁপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আরো তিন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০ (এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় ভারতের ক্যাদারিপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এর আগের দিন গত বুধবার ভোরে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিএসএফের গুলিতে পাঁচ বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়া গেল। গত বুধবার ভোরে হাতিবান্ধা উপজেলার গুতামারী ইউনিয়নের বনচৌকি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতরা হলেন আমঝোল গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে সুরুজ (৩৮) এবং একই গ্রামের উসমান আলীর ছেলে সুরুজ (১৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে তারা নিহত হন। অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার নিহতরা হলেন পোরশা উপজেলার বিষ্ণুপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে রণজিত কুমার (২৫), দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন যুবক ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গরু আনতে যান। তারা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকায় পৌঁছালে ভারতের ক্যাদারিপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তিন বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হন। গরু ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ মরদেহ বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে ছিল। আর রণজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের ৮০০ গজ অভ্যন্তরে পড়েছিল।

এ বিষয়ে ১৬ বিজিবির হাঁপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোখলেছুর রহমান জানান, তিনজন গুলিবিদ্ধের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। অপর দুজন ভারতের অভ্যন্তরে মারা গেছে কিনা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেবেন বলেও জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close