বরগুনার তালতলীতে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনুসহ আটজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তারেকুজ্জামান তারেক, আরিফ হোসেন, যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জসিম উদ্দিন সিকদার, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম ইমন, মিলন গাজী, ছোটবগীর ঠংপাড়া গ্রামের মো. ফারুক ও পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের তাশরিফ আহমেদ জুয়েল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি তৌফিকুজ্জামান তনু ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তার ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার থেকে একটি আপত্তিকর ভিডিও বাদীকে পাঠান। ভিডিওটি প্রেরণ করে ক্ষুদে বার্তা দেন, তার বড় ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টুর পক্ষে উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। তা না করলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তৌফিকুজ্জামান তনু ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ মাসের ৩ এপ্রিল বাদী ব্যাংকে যাওয়ার সময় মামলার ২নং আসামি তারেকুজ্জামান তারেক তাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে একই ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন।

এ সময় বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ব্যাগে থাকা পাঁচ লাখ টাকা আসামিদের সহযোগিতায় জোরপূর্বক আদায় করেন। পরে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে দিয়ে বাদীকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানসিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে।

বাদী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য আসামিরা সিরিজ ভিডিও তৈরি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছি। এ বিষয়ে জানতে তৌফিকুজ্জামান তনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বরগুনা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. বশির আলম বলেন, এখনো মামলার নথি পাইনি। নথি পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

"