নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ অক্টোবর, ২০১৮

সরকারকে সংলাপে বাধ্য করা হবে

গণসংহতির জনসভায় বক্তারা

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার প্রতিদিন সংলাপের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করছে। এ প্রত্যাখ্যান সরকারের করুণ পরিণতি ডেকে আনবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মুখোমুখি সরকারকে হতেই হবে। তিনি বলেন, আগামীতে জনসংহতি আন্দোলন সাধ্য অনুযায়ী আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে সংলাপে বসতে বাধ্য করা হবে। এ আন্দোলনে বিরোধীদলগুলোকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল শুক্রবার প্রেস ক্লাবে সামনে আয়োজিত এক জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, আর তিন মাস পরেই নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়েও জনগণের মাঝে সংশয় কাজ করছে। কারণ সরকার একতরফা নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

সরকার জমিদারতন্ত্র কায়েম করতে চায় উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, সংবিধানের মধ্যেই সমস্যা আছে, ভূত আছে। এ সংবিধানে এক ব্যক্তিকে এমন ক্ষমতা দেওয়া আছে, যা জমিদারতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের প্রধান ভিত্তি। সব ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে দেওয়া আছে। সরকার তার হাতে তো আছেই, সংসদও তার দাস। বিচার বিভাগও নিয়ন্ত্রণ করেন। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তার মুট্টির মধ্যে থাকে। এই একচ্ছত্র ক্ষমতার সংস্কার না করলে দেশে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না।

জনসভা শেষে একটি মিছিল পল্টন থেকে গুলিস্তান হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবন প্রদক্ষিণ শেষে দোয়েল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চাই। শাসনের আইন নয়, আইনের গণতন্ত্রায়ন চাই। এক ব্যক্তির ক্ষমতায়ন নয়, ক্ষমতার ভারসাম্য চাই। গণবিরোধী আরপিও বাতিল কর। পরিবর্তন সম্ভব, আমরা পরিবর্তন চাই’ প্ল্যাকার্ড বহন করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close