প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বেলজিয়ামে স্পিকার

শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক ও মানবিক সব সূচকে দেশের উন্নয়ন অভূতপূর্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত হবে। গত শুক্রবার বেলজিয়াম হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের প্রেসিডেন্ট শিকফ্রেড ব্র্রেককে এ কথা বলেন স্পিকার। বেলজিয়াম পার্লামেন্টে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন স্পিকার।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার আসেপ সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমানে বেলজিয়াম সফরে রয়েছেন।

স্পিকার বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা। নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নারীর এ অগ্রযাত্রা মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও বিরোধী দলের নেতা সবাই নারী। জাতীয় সংসদে সর্বমোট ৭৩ জন নারী সংসদ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসনিক, বিচার বিভাগীয় ও সামরিক বাহিনীতে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যেও নারী উদ্যোক্তাদের অবদান আজ দৃশ্যমান। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়েছে জেন্ডার সমতা।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্পসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বৈষম্য কমিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় সম্পূক্ত করতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ যুব শ্রেণী। এই য়ুব শক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে ও দারিদ্র্যবিমোচনে সরকার সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। যেখানে সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন।

বেলজিয়ামের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস প্রেসিডেন্ট বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে বেলজিয়াম বাংলাদেশের পাশে আছে ও থাকবে। অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুব সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ তবে এক্ষেত্রে বেলজিয়ামে প্রবীণ জনগোষ্ঠী অধিক হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা চাপ সৃষ্টি করেছে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে যুব সমষ্টির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী এমপি ও বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে স্পিকার ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন ফর রিলেশনস উইথ কান্ট্রিস অব সাউথ এশিয়া এর চেয়ার জেন ল্যাম্বার্ট এমইপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি জলবায়ু ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বমূলক ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করতে এশিয়া-ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপকে (আসেপ) শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close