reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৮ আগস্ট, ২০১৮

নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে

নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতির পিতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা প্রত্যেকটি পরিবারের মহান দায়িত্ব। অন্যথায় নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সঠিক ও সুস্পষ্ট ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করা হবে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা কমার্স কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীকে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। একটি ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং স্বাধীন দেশের জন্মলাভ বিশ্ব ঐতিহ্য রেকর্ড অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি লেখক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশদ্রোহীদের চক্রান্তে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নৃশংসভাবে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে চক্রান্তকারীরা মূলত বাংলাদেশকেই হত্যা করার হীন চেষ্টা চালায়। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মিলে এ দেশের রাজাকাররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য বাংলাদেশ করতে চেয়েছিল। তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যোগ্যতা ও শক্তি অর্জন করতে হবে। স্বাগত ভাষণ দেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু সাইদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন উপাধ্যক্ষ প্রশাসন প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা একাডেমিক প্রফেসর মো. মোজাহার জামিল ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক এস এম আলী আজম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ প্রদর্শিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে ছবি ও চিত্র প্রদর্শনী এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঢাকা কমার্স কলেজ আর্টস অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব। কলেজের সমাজকল্যাণ ক্লাব আয়োজিত রক্তদান ও ব্লাডগ্রুপিং কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডা. এম এ রশীদ।

উল্লেখ্য, ঢাকা কমার্স কলেজ বাংলাদেশের ব্যবসায় শিক্ষার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ র‌্যাংকিং ২০১৫ ও ২০১৬-এ ঢাকা কমার্স কলেজ দেশের সেরা বেসরকারি কলেজের মর্যাদা লাভ করেছে। বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ওই কলেজের ফলাফল সবার কাছে ঈর্ষণীয়। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গড় পাসের হার ৯৯.৭৭%। এ কলেজে বর্তমানে অধ্যয়ন করছে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close