চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২০ মে, ২০১৮

রোজা ও ঈদে ভরা মৌসুমে আম বাণিজ্যে মন্দার শঙ্কা

এ বছর রমজান মাসেই আমের ভরা মৌসুম। আমপ্রেমীরা তখন রোজা রাখবেন। এই সময়ে বাণিজ্যিক জাতগুলো বাজারে আসবে। আর ঈদের সময় নামানো হবে ফজলি জাতের আম। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, একে তো এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমের ক্ষতি হয়েছে, তারপর রমজান ও ঈদের কারণে আম ব্যবসায় মন্দা যেতে পারে।

জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ ২০ মে থেকে বাজারজাত করা যাবে আম। তবে কেবল গুটি আমই নামানো যাবে। বাণিজ্যিক জাত গোপালভোগ আমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৫ মে পর্যন্ত। এরপর পর্যায়ক্রমে বাজারে আসবে অন্য জাতগুলো। আমপঞ্জিকা অনুযায়ী হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি আম নামানো যাবে ২৮ মে থেকে। লক্ষণভোগ ১ জুন, ল্যাংড়া ও বোম্বায় ৫ জুন, ফজলি, সুরমা ফজলি ১৫ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১ জুলাই বাজারজাত করা যাবে। যদিও আম পঞ্জিকা প্রণয়ন সভায় বলা হয়েছিল, এ বছর দেরিতে আমের মুকুল এসেছে। তাই আম নামানোর তারিখ সংশোধন হতে পারে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যনতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দীন জানান, গুটি জাতের আম এরই মধ্যে পরিপক্ব হয়ে গেছে। কিছু কিছু গাছে আম পেকে পড়তে দেখা গেছে। অর্থাৎ গুটি আম বাজারজাত করতে কোনো অসুবিধা নেই।

সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়ার আম ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, রমজানে আমের চাহিদা তুলনামূলক একটু কম থাকে। অন্য সময় একটি বাড়িতে যদি ২ কেজি আম লাগে, রমজান মাসে তা অর্ধেকে নেমে আসে। তাই রমজান মাসে আম বাজারে মন্দা যায়। চকআলমপুরের আরেক ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম জানান, গত বছর আমের মৌসুম অর্ধেক রোজার মধ্যে ছিল। তখন আমের ব্যবসা তেমন একটা ভালো হয়নি। কিন্তু এবার পুরো মৌসুম রমজান মাসে। তাই সব ব্যবসায়ীর মধ্যেই আশঙ্কা কাজ করছে। আশরাফুল আলমের ব্যবসায়িক সহযোগী কুতুবুল ইসলাম জানান, এবার আম মৌসুমের শুরু থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশ ক্ষতি হয়েছে। যে পরিমাণ আম শেষ পর্যন্ত টিকে আছে, তার যদি প্রত্যাশিত দর পাওয়া না যায় তবে দ্বিমুখী ক্ষতির মধ্যে পড়বে ব্যবসায়ীরা। আম ব্যবসায়ী দাউদ আলী বলেন, এবার সবচেয়ে ক্ষতির মধ্যে পড়বেন ফজলি আম ব্যবসায়ীরা। কারণ যে সময়ে ফজলি আম পাকবে তখন রোজা শেষে আসবে ঈদ। ঈদের কারণে উৎপাদিত আম জেলার বাইরে পাঠানোও যাবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাধুরঘাট আম বাজারের আম বিক্রেতা সুকুমার জানান, গত বছর রোজার মধ্যেও বেচা-কেনা খুব খারাপ হয়নি। তবে অন্য সময় তার চেয়ে বেশি হয়। কানসাট আম ব্যবসায়ী সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম জানান, রোজার কারণে বেচা-কেনা একটু কম হয় এটা বাস্তবতা। তবে এ বছর আমের উৎপাদনও কম। সব মিলিয়ে ব্যবসা কেমন হবে তা সময় বলে দেবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist