রাজশাহী মহানগরী যুবলীগ নেতা সুমনের ‘বিতর্কিত’ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এর পক্ষে-বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে গতকাল শুক্রবার এই যুবলীগ নেতা বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে প্রতিপক্ষ। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় ফেক আইডিগুলোর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেছি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন বলেন, যুবলীগ নেতা সুমনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী মুঠোফোনে জানান, যাচাই-বাছাই করে সুমনের ঘটনার সত্যতা থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী ও দেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কাজের সঙ্গে জড়িতদের সংগঠনের সদস্য করা যাবে না। পক্ষান্তরে, মহানগর যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের এমন ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। দলের গুরুত্বপূর্র্ণ পদধারী নেতার এমন বিতর্কিত কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যাদের কারণে দলের বদনাম হয়, মানুষ কষ্ট পায়, ভয় পায়, তাদেরকে আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলে দরকার নেই বলেও জানান তারা।

উল্লেখ্য, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে যুবলীগ নেতা সুমনের একটি অশ্লীল ভিডিও গত ১২ এপ্রিল ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচেনা ও বিতর্কের ঝড় ওঠে।

"