দিলরুবা খাতুন, মেহেরপুর
মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়ক
সাড়ে তিন বছর বন্ধ বাস অটোরিকশাই ভরসা
মেহেরপুরে আন্তঃসড়কে (মেহেরপুর-মুজিবনগর) অবৈধ যান (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী সংকটে সাড়ে তিন বছর ধরে বাস চলাচল বন্ধ। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া ও জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং বাস মালিক ও শ্রমিকপক্ষ আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগে কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জানা যায়, ২০০৫ সালের দিকে মুজিবনগর থেকে মেহেরপুর বাস যোগাযোগ চালু হয়। পরে সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী সংকটে মেহেরপুর বাস মালিক সমিতি ২০২১ সালের প্রথমার্ধে মুজিবনগর-মেহেরপুর আন্তঃসড়কে বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে পর্যটকসহ স্থানীয়দের অতিরিক্ত ভাড়া ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুজিবনগর-মেহেরপুর যাতায়াত করতে হচ্ছে। মুজিবনগর থেকে দুর পাল্লার পথে রাজশাহী ও ঢাকায় অন্তত কুড়িটি বাস চলাচল করছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বাস মালিক ও শ্রমিকপক্ষ আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগের সমস্যা নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক হাসানুজ্জামান বাবু জানান, আন্তঃজেলা বাস সার্ভিস চালু থাকলে নির্ধারিত সময়ে বাসে যাতায়াত করা যায়। বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়াতে গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলেজে যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময়ে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
একই কলেজের শিক্ষার্থী আমদহ গ্রামের রফিকুল আলম জানান, বাস সার্ভিস চালু থাকলে হাফ ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারতেন। এখন দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে অনেক সময় আর্থিক কারণে কলেজে যাতায়াত করতে পারেন না।
বাস চালক সেন্টু মিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন সময় নিষিদ্ধ পরিবহনের চালকের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। এসব নিষিদ্ধ যান বন্ধ হলে আবার বাস চালাব।’
মেহেরপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, অবৈধ যানবাহন সড়কে চলাচল করে। তাতে বাসে যাত্রী সংকট হয়। তাছাড়া নিষিদ্ধ যানবাহনের চালক মালিকরা বাসের হেলপার, সুপার ভাইজার ও চালককে মারধর করে। বাস শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই বাধ্য হয়ে মুজিবনগর সড়কে বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজি নাজিব হোসেন বিষয়টি নিয়ে বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
"