আল আমিন, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

পাউবোর জায়গায় বালু ব্যবসা সড়ক ডোবে পানিতে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। রূপসী-কাঞ্চন বাইপাস সড়কঘেঁষা পাউবোর জায়গায় বালুর স্তূপ করে বিক্রি করা হচ্ছে। বালুর পানি সড়কে এসে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা। যানবাহন চলাচলে হচ্ছে সমস্যা।

জানা গেছে, উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ঋষি পাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটি-এর প্রায় ৩ বিঘা জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন বালুর ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জব্বার মিয়া। প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালু বিক্রি করছেন তিনি। সড়কের পাশে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করায় এখানে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বালুর স্তূপের পাশেই শতাধিক পরিবারে বসতি। বাতাসে ধূলাবালির কারণে ছোট বড় সবাই ভুগছে ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলেও এর কোনো সুফল পাননি তারা।

কভারভ্যান চালক হান্নান বলেন, এ রকম একটি ব্যস্ততম সড়কের পাশে বালুর স্তূপ দেওয়ায় বাতাস এসে বালু চোখে পড়ে।

অটোরিকশা চালক জামান বলেন, মুড়াপাড়া বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে হাটাবো যেতে জব্বার মেম্বারের স্তূপ করা বালু বাতাসে উড়ে রাস্তা পুরো ঘোলা হয়ে যায়। এবং আমাদের ও যাত্রীদের শরীরসহ গাড়ির গ্লাস বালু দিয়ে ভরে যায়। এমনকি চোখেও বালু যায়।

অটোরিকশার যাত্রী সিরাজ মিয়া বলেন, রাস্তার পাশে ট্রাক-পিকআপ দিয়ে বালু ও পাথর আনা নেওয়ার কারণে সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জব্বার মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে শীতলক্ষ্যা নদী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা, মসজিদের জায়গা দখল করে বালুর ব্যবসা করছে। তার বালুর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বানিয়াদী ঋষিপাড়ার এক গৃহবধূ জানান, রান্নার সময় বাতাসের সঙ্গে বালু আসায় খাবার নষ্ট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জব্বার মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে কথা বললে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন রেখে দেন।

মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, জব্বার মিয়ার অবৈধভাবে বালুর ব্যবসায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এ বিষয়ে জব্বার মিয়াকে ডাকলে সে আসে নাই। তার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close