তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধ

  ০৯ মে, ২০২৪

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া

ওষুধ স্প্রে ও অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির কবলে মরিচ চাষিরা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ‘কাপলাল’ নামক ওষুধ স্প্রে করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মরিচ চাষিরা। একই সঙ্গে অনাবৃষ্টির কারণে মরিচ চাষিরা আর্থিক ক্ষতির কবলে পড়েছেন। তবে চাষিরা কৃষি অফিসের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ ফসলে দেওয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ৮ হাজার ৬৮৭ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও দেশীয় জাতের মরিচ চাষাবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে রয়েছে হাইব্রি, হট মাস্টার, বিজলী, মল্লিকা, বারি ১-২, বাঁশ গাইয়া, বালুচরি ও বিন্দু। এসব জাতের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারি ১-২, হাইব্রিড, মাস্টার মল্লিকা ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের মরিচের খেতে পানি দিতে না পারায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে। ফলে অনেক চাষি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তেতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনচন্ডী এলাকার মরিচ চাষি আমিরুল ইসলাম জানায়, এ বছর তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষাবাদ করেছেন। আশা ছিল ২০০ থেকে আড়াইশো মন আঁকা মরিচ (রেড গোল্ড) ফলন পাবেন। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে পোকামাকড় দমনের জন্য স্থানীয় বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ‘কাপলাল’ নামক ঔষধ স্প্রে করার পর অনেক মরিচের গাছে শীস হয়েছে। এসব গাছে কোনো ফলন আসেনি। এছাড়া অনাবৃষ্টির কারণে মরিচের গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এবছর মরিচ চাষাবাদ করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এই কৃষকের ভাষ্যমতে এলাকার অনেক চাষি ওই ওষুধ স্প্রে করে লোকসানের মুখে পড়েছে। ফকিরপাড়ার আরেক চাষি মো. হাফেজ বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছিলাম। ওই ওষুধ স্প্রে করে আমার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

সালবাহান গ্রামের চাষি সাদিকুল ইসলাম বলেন, চাষিরা খেতের কাঁচা মরিচ তোলার জন্য প্রতি কেজি ৯ থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত শ্রমিকদের দিচ্ছে। খেতের মরিচ তোলার জন্য গ্রামের পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশু শ্রমিকরাও কাজ করছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি মন শুকনা মরিচ সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মতিন জানান, এ অঞ্চলের আবহাওয়া ফসল চাষাবাদের উপযোগী। তবে অনাবৃষ্টির কারণে কিছু চাষি মরিচের ফলন কম পেয়েছে। আবার যেসমস্ত চাষি মরিচ খেতে পানি সেচ দিয়েছে তারা ভাল ফলন খেতে পেয়েছে। কৃষি অফিসে গিয়ে পরামর্শ না করে ওষুধ ফসলে স্প্রে করে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে ‘কাপলাল’ ওষুধ স্প্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close