সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ
গরম ও লোডশেডিংয়ে হাতপাখা কিনছে মানুষ
* আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে হাতপাখা * প্রকৃতিতে এই দাবদাহ বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলবে
সিরাজগঞ্জে তীব্র গরম ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে কদর বেড়েছে হাতপাখার। শহরের ব্যস্ত স্টেশন, বড় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা ও দোকানে ক্রেতাদের হাতপাখা কিনতে দেখা গেছে। এদিকে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃতিতে এই দাবদাহ চলবে বলে জানিয়েছে তাড়াশ আবহাওয়া কার্যালয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের ব্যস্ত বাজার, স্টেশন, বড় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হাতপাখা কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া পাড়া ঘুরে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের হাতপাখা ফেরি করতে দেখা যায়। আগে যে হাতপাখা ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হতো, বর্তমানে তা ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বৈদ্যুতিক পাখা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র (এসি) প্রভাবে হাতপাখার ব্যবহার অনেকটা কমে এসেছিল। তবে কিছুদিন ধরে প্রকৃতিতে তীব্র গরম শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি শুরু হওয়া লোডশেডিংয়ের মানুষের জীবন প্রায় হাঁসফাঁস অবস্থা। এ কারণে গ্রামে ও নগরে ফিরে এসেছে হাতপাখার ব্যবহার। অনেকে হাতপাখা ফেরি করে সংসার চালাচ্ছেন।
ভ্রাম্যমাণ হাতপাখা ব্যবসায়ী আয়নাল শেখ বলেন, দশ বছর ধরে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারসহ শহরে হাতপাখা বিক্রি করি। সেই টাকায় আমার সংসার চলে। আমার মতো অনেকেই পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। এ বছর গরম শুরুর প্রথম থেকেই বেড়েছে হাতপাখা কারিগরদের ব্যস্ততা। প্রতি পিস ৫৫-৬৫ টাকা করে বিক্রি করি।
শহরের বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম (৫৬) বলেন, হাতপাখা সব সময় পাওয়া যায় না, তাই একটা কিনলাম। দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ থাকে না, ওই সময় পাখা না হলে চলে না। বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে এখন গরমে পাখাই ভরসা।
আবু সাইদ বলেন, দুটি তালপাতার পাখা কিনলাম ১১০ টাকায়। এ গরমে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট তো লেগেই আছে। তাই পাখার কোনো বিকল্প নেই। পাখার বাতাসও অনেক প্রশান্তি দেয়।
জেলার তাড়াশ আবহাওয়া কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ দাবদাহ অব্যাহত থাকবে কিছুদিন। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত দাবদাহ চলবে।
"