বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক স্কুলছাত্রীর হাতের আঁচিল তোলার নামে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে কথিত এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কায়েম আলী ওরফে কাইয়ুম নামে কথিত ওই কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফকিরহাট মডেল থানায় ওই মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।

মামলা করার তথ্য নিশ্চিত করেন ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত কথিত কবিরাজ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাদশা বুলবুল জানান, গত সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে হাতের আঁচিল তুলতে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কথিত কবিরাজ কায়েম আলীর বাড়িতে যায় স্কুলছাত্রী। সেখানে চিকিৎসার সময় সেবাপ্রার্থীর সঙ্গে কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে ঘরের বাইরে বের করে দেন।

এসআই বাদশা বুলবুল আরো বলেন, বান্ধবীকে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে একটা বাতাসা খেতে দেন। এতে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে না বলতে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন হুমকি দেন কথিত ওই কবিরাজ। পরে ঘটনাটি জানাজানির পরে কথিত কবিরাজ গা ঢাকা দিয়েছেন।

স্কুলছাত্রীর পরিবার জানান, তারা স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়া ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকায়, প্রথমে ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।

"