সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছে চাষি ইয়াকুব আলী। গত ৪ বছর ধরে এই উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিল কলমি গ্রামের পেঁয়াজ চাষি ইয়াকুব আলী পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে আসছে। তার এই বীজ এখন সারা দেশে যাচ্ছে এবং দেশব্যাপী কদরও বেড়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিল কলমি গ্রামের আর দশজনের মতোই তিনি একজন পেঁয়াজ চাষি। ইতোমধ্যেই তিনি এলাকায় পেঁয়াজ বীজের কারিগর হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।

তিনি পিঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবেও এখন অনেক চাষির কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন। তাকে অনুসরণ করে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী। গত ৪ বছর যাবত ইয়াকুব আলীর উৎপাদিত উৎকৃষ্ট মানের পেঁয়াজের বীজের খ্যাতি ছড়িয়ে পরেছে দেশব্যাপী।

পেঁয়াজ বীজ চাষি ইয়াকুব আলী জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের উৎসাহে ৪ বছর আগে একরকম হেলাফেলা ভাবেই ১০০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ শুরু করি। সেখান থেকে যে পরিমাণ বীজ পাই তাতে ব্যাপক লাভবান হই। সেই ধারাবাহিকতায় ব্যাপক উৎসাহ নিয়েই নিয়মিত পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে আসছি। এখন আমার দেখাদেখি অনেকেই পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন শুরু করেছে।

তিনি আরও জানান, প্রথম দিকে তার উৎপাদিত বীজ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যান। চাষিরা তার বীজ কিনে চাষে আশানুরুপ ফল পান।

বিল কলমি এলাকার চাষি হালিম সরকার, আব্দুল কাদের, আব্দুল বারি, জয়নাল আবেদীন জানান, পেঁয়াজ চাষ অন্যান্য ফসলের থেকে লাভজনক হওয়ায় আমরা পেঁয়াজ চাষ করছি। আমাদের গ্রামেরই কৃষক ইয়াকুব আলীর কাছে থেকে ভালো মানের বীজ পাওয়ায় আমাদের ফলনও অনেক ভালো হচ্ছে।

শাহজাদপুরের কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী জানান, উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নে এ বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ হয়েছে। তাই এখানে পেঁয়াজ বীজের চাহিদাও রয়েছে। সেই চাহিদা থেকেই কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পেঁয়াজ বীজ চাষে আগ্রহী হয়ে সফলতা পেয়েছেন কৃষক ইয়াকুব আলী।

শাহজাদপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জেরিন আহমেদ বলেন, কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষক ইয়াকুব আলী একটি প্রদর্শনি নিয়ে কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজ উৎপাদন করে আসছেন। দেশে ভালো বীজের চাহিদা মেটাতেই সরকারের এ উদ্যোগ। আর সরকারের এই উদ্যোগের সাথে একাত্ম হয়ে কৃষক ইয়াকুব আলী ভালো মানের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে শতভাগ সফলতা অর্জন করেছেন এবং তিনি এখন সফল উদ্যোক্তা।

"