বগুড়ার আদমদীঘিতে স্বামীর গাড়ি কেনার টাকার জন্য করা নির্যাতনে নাসরিন আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের পর বুধবার চাচা শ্বশুরের সঙ্গে গ্রামে ফিরছিলেন গৃহবধূ। পথে ভাইকে দেখে বিষ (বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট) সেবনের কথা জানায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

সাত বছর আগে নওগাঁর দুবলহাটির বনগ্রামের সুলতান হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় নাসরিনের। তাদের সংসারে চার ও ছয় বছর বয়সী দুইটি কন্যা রয়েছে।

গৃহবধূর স্বজনেরা জানান, সম্প্রতি একটি অটোরিকশা কেনার জন্য সুলতানের টাকার প্রয়োজন হয়। এ জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা আনতে স্ত্রী নাসরিনকে চাপ দেন তিনি। এতে অপারগতা স্বীকার করলে মঙ্গলবার রাতে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন সুলতান। পরে বুধবার নাসরিনকে নিয়ে তার নিজের বাড়ি বড়আখিড়া মন্ডলপাড়ায় রওয়ানা দেন চাচা শ্বশুর ধলু।

নাসরিসের ভাই মো. মুন্না জানান, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা রোড এলাকা থেকে প্রতিবেশি ধলুর সঙ্গে তার বোন অটোকিশায় বড় আখিড়া গ্রামে ফিরছিলেন। গ্রামে ঢোকার মোড়ে বোনকে দেখে তিনি এগিয়ে যান। এরপর নাসরিন তাকে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার কথা জানান। পরে তিনি বোনকে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা এ ব্যাপারের জানান, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

"