চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ঝড়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ে আম, কলা, ভুট্টাসহ কাঁচাপাকা বাড়িঘর, দোকানপাট ভেঙে ও টিনের ছাউনি উড়ে যায়।

এছাড়া বনজ গাছ ভেঙ্গে রাস্তায় পড়লে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝড় শেষে ভোলাহাট ফায়ার সার্ভিসের দল ঝড়ে পড়ে যাওয়া রাস্তার গাছ সরিয়ে ফেলে চলাচল স্বাভাবিক করে।

বিশেষ করে আমবাগানে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়া আম গুলো ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভোলাহাট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মোট ৩ হাজার ৬৬২ হেক্টর জমির আম বাগানের মধ্যে ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমির আম বাগান ঝড়ে আক্রান্ত হয়। এতে প্রায় ৪০ শতাংশ আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এছাড়া ভূট্টা প্রায় ১৮ লাখ, কলা প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

দলদলী ইউনিয়নে পোল্লাডাঙ্গা নামটোলা গ্রামের মো. মহবুল হক, মোসা. রেহেনা খাতুন, ঘোনটোলা গ্রামের মো. জালাল, মোসা. সেতারা, উলাডাঙ্গা গ্রামের মো. কাদির ঝড়ে আহত হয়।

আম ব্যবসায়ী মো. সেলিম রেজা বলেন, ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের সাধারণ সম্পাদক মো. মুনসুর আলী জানান, ফাউন্ডেশন চত্বরে ১১০টি আড়ৎ ঘরের মধ্যে ৬০-৭০ টি ঘরের টিন ও বেড়া উড়ে গেছে। এতে কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে ।

দলদলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু বলেন, আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টনের টন আম ঝড়ে ঝরে পরেছে। এছাড়াও কাঁচা পাঁকা ঘর ভেঙ্গে গেছে।

গোহালবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন আলী শাহ বলেন, আমার ইউনিয়নে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী বলেন, ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পড়ে যাওয়া আমগুলো নষ্ট না করে আচার করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমানের তালিকা প্রক্রিয়া চলছে। তালিকা হাতে পেলে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান।

উপজেলা চেয়াম্যান মো. রাব্বুর হেসেন বলেন, আমি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ করা গেছে।

"