আলি হায়দার, ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

ভোলাহাটে গৃহহীনরা পেলেন আপন ঠিকানা

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা পর্যায়ের তালিকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা। এ উপজেলার এক হাজার ১২২ জন অসহায়, ভূমিহীন, গৃহহীন, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষগুলো বসবাস করছেন নিজের আপন ঠিকানায়।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা গড়তে দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যমসহ সাধারণ জনগণ। উপজেলা প্রশাসন সবার সহযোগিতায় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে প্রকৃত অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাছাই করে বাড়ি দেওয়ার।

চরধরমপুর মুজিবপল্লীর বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কয়েশ উদ্দিন বলেন, ‘আমার নিজস্ব জমি না থাকায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে উপহার দিয়েছেন। আমি খুব খুশি হয়েছি। এখানে ১০০টি পরিবার বসবাস করি। এরা সবাই গৃহহীন ভূমিহীন ছিল। রাস্তার ধারে খাসজমিতে বসবাস করত। এখন সবাই নিজস্ব ঠিকানা পেয়ে খুব খুশি। হাঁস-মুরগি, গরু, সবজি চাষ করে বেশ ভালোমতো জীবনযাপন করছেন। এখানে শেখ হাসিনা খেলার মাঠ, মসজিদ, পানি, বিদ্যুৎ, রাস্তা, স্কুল সবকিছুই করে দিয়েছেন। এখানে কোনো কিছুর কমতি নেই। দেখতে খুব সুন্দর তাই অনেক মানুষ ইচ্ছে করে দেখতে আসেন।’

শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. নাজমুল হোসেন বলেন, এত দিন আমি খুব খুব অবহেলিত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে উপহার হিসেবে যে বাড়ি দিয়েছেন এতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আজীবীন দোয়া করব। বাড়ি পেয়ে বেশ সুখে আছি।

হলিদাগাছী গ্রামের মোসা. মোমেনা খাতুন বলেন, আমি স্বামীহারা হয়ে রাস্তার পাশে খাসজমিতে বসবাস করছিলাম। পরে অন্য উপজেলার একজনের সঙ্গে বিয়ে হয়। সে পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখে না। খুব অসহায় জীবনযাপন করছিলাম। এমন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর উপহার পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি। কোনো দিন জমি কিনে বাড়ি করতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রীর জন্য সারাজীবন দোয়া করব।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মমকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘরগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নিবিড়ভাবে তদারকি করেছেন। যাতে গুণগত মান ঠিক থাকে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবসসুম বলেন, এই উপজেলায় কয়েক ধাপে ১ হাজার ১২২ টি ঘর নির্মাণ হয়েছে। এখন ভূমিহীন গৃহহীন মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করছেন। তারা নিজ ঠিকানা পেয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী এ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণার তালিকায় রেখেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close