মাহমুদুল হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

আগাম তরমুজ কাটা শুরু আবাদ কম হাজার হেক্টর

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চরাঞ্চলে ইতিমধ্যে কিছু আগাম তরমুজ কাটতে শুরু করেছেন চাষিরা। পাইকাররা খেত থেকে তরমুজ কিনতে শুরু করেছেন। তাঁদের কেউ বেশি টাকায় বিক্রির জন্য ঢাকার শহর নিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এ বছর তরমুজের আবাদ হয়েছে কম জমিতে। তবে ভালো ফলনের জন্য কাজ করছেনে তরমুজচাষিরা। এতে গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।

কৃষকেরা জানান, গত বছর তরমুজ বিক্রি দিনে ঘূর্ণিঝড় ও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাদের তরমুজখেত তলিয়ে যায়। খেত থেকে পানি নিষ্কাশন করার পরই কড়া রোদে গাছ মরে যায়। এতে তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে তরমুজ আবাদ হয়েছিল ৯ হাজার ৪৪৯ হেক্টর জমিতে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে তরমুজ আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতেক। যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৮৭ হেক্টর জমি কম। তবে এবার ফল ভাল হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে একটু লাভের আশায় পরিশ্রম করছেন কৃষকরা। প্রখর রোদের মধ্যে কেউ খেতে সার ছিটাচ্ছেন, কেউ ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য গাছে ওষুধ ছিড়াচ্ছে করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকের দিন-রাতের পরিশ্রম বৃথা যাবে না। গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে এ বছর লাভের আশায় দিন-রাত কাজ করছেন এবং ফলনের ব্যাপারেও বেশ আশাবাদী তারা। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের তরমুজের খেতে ভালো ফলনও হয়েছে। কিছু কিছু এলাকার খেত থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ছোটবাইশদিয়া, মৌডুবী, রাঙ্গাবালী, চরমোন্তাজ ও বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরের জমি একসময় রবি মৌসুমে খালি পড়ে থাকত। কৃষি কার্যালয়ের প্রচেষ্টা ও ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ের পরামর্শে বর্তমানে এসব জমিতে এখন তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়।

এদিকে অনেক জমি থেকে আগাম তরমুজ কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা। অনেকে বেশি টাকায় বিক্রির জন্য ঢাকার শহর নিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।

কাজীকান্দা গ্রামের কৃষক মস্তোফা বলেন, গত বছর তার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য এবার আগাম তরমুজের চাষ করেছি। ২ দশমিক ৫ একর জমিতে তিনি ৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। শুরুতে গাছে ফল এলেও ঝরে যায়। ধারণা করেছি, সেই ফল টিকলে ২০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ বলেন, রাঙ্গাবালীতে এ বছর ৮ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। কাউখালী, চর ইমারসন, মৌডুবী বড়বাইশদিয়া, চরনজির ও চরমোন্তাজ এসব জায়গায় যারা আগাম তরমুজ চাষ করেছেন, তাদের ফলন ভালো হয়েছে। তারা দামও ভালো পাচ্ছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close