তাজাম্মূল হুসাইন, মনিরামপুর (যশোর)

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মনিরামপুরে পানির সংকটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা

যশোরের মনিরামপুরের মাছনা (বেগমপুর) আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৬টি ঘরের বাসিন্দাদের জন্য গত বছর ছয়টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর। স্থাপনের শুরু থেকে দুটি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। বাকি চারটি নলকূপে খুবই অল্প পানি উঠছে। ফলে খাবার ও ব্যবহারের পানির সংকটে ভুগছেন ওই আশ্রয়ণের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ওইখানে প্রতি ১০ ঘরের জন্য একটি করে নলকূপ বরাদ্দ রয়েছে। তবে মাছনা আশ্রয়ণ পল্লীতে ৬৬ ঘরের মধ্যে সর্বদক্ষিণের ছয় ঘরের জন্য কোনো নলকূপ স্থাপন করা হয়নি। এ ঘরের বাসিন্দারা অন্য নলকূপ থেকে কোনো রকমে খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারলেও কাপড় ধোয়া কিংবা গোসলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র মতে জানা গেছে, ওই পল্লীতে আরও দুটি গভীর নলকুপের বরাদ্দ রয়েছে। তবে কবে নলকূপ দুটি স্থাপন করা হবে তা জানা যায়নি।

এদিকে মছনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলছেন, ৭-৮ মাস ধরে তিনটি নলকূপে পানি ওঠে না। টিউবওয়েল নষ্টের কথা একাধিকবার অফিসে জানানো হয়। একটা ঠিকও করে দেয়। তবে দুটো নষ্ট পড়ে আছে। দূরে গ্রাম থেকে পানি নিয়ে আসতে হয়। খাওয়া, গোসল ও ধোয়ার কাজে পানির অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমাগের কলডা চাপতি গেলি জীবন বের হয়ে যায়। পানি ওঠে না। আমি স্যারেগের বলিলাম। ওরা এসে চাপতি চাপতি কোনো রকম পানি উঠয়ে কইল এরাম চাপতি থাকেন পানি উঠবে। ওরা চলে গেলে আর পানি তুলতে পারিনি। কল পোতা ধরে এ সমস্যা’। পলি বেগম বলেন, ‘আমার ঘরের সামনে একটা সাধারণ কল ছিল। ওটা থেকে সবাই পানি নিত। সেই কলডা খুলে নিয়ে গেছে’।

এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব কুমার দত্ত বলেন, মাছনা আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের জন্য ছয়টি গভীর নলকূপ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নলকূপে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। আমরা জেনেছি একটি নলকূপ নষ্ট হয়ে আছে। পরে শুনলাম দুটো নষ্ট। ঠিকাদারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত তাকে আসতে বলেছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close