আব্দুল বাছিত বাচ্চু, মৌলভীবাজার (সিলেট)

  ২৫ নভেম্বর, ২০২২

কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া বেড়েছে উৎপাদন

মৌলভীবাজারে আমনের শ্রমিক সংকট দূর করেছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়েছে। ভালো উৎপাদনের পাশাপাশি শ্রমিক সংকট দূর হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও পাতাকুঁড়ি এগ্রোর সহযোগিতায় খামার যান্ত্রিকীকরণের আওতায় রোপা আমন ধানের চারা রোপণ ও কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এই উপলক্ষে মাঠে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়।

জেলা কৃষি বিভাগের মতে, এ বছর জেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৪০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার টন। কৃষি বিভাগ আশা করছে এ বছর ৩ লাখ টনের উপরে উৎপাদন হবে।

কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমন ধান চাষে এ বছর অনুকূল পরিবেশ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে প্রতি বছর অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি সহ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খামার যান্ত্রিককরণের উদ্যোক্তা সৈয়দ উমেদ আলী বলেন, এ বছর ১২৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড ও ব্রি ৭৫ জাতের ধান চাষ করেছি। এর মধ্যে ৮৩ বিগা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণ করি। কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে ওই জমিতে ধান কাটা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক ইঞ্চি জমি যাতে খালি পড়ে না থাকে সে জন্য কৃষি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এতে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ বেড়েছে। এই জমিতে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে একেবারে অমন রোপণ থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেমন শ্রম কমেছে, খরচ কমেছে, উৎপাদন বেড়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close