শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

  ২৩ নভেম্বর, ২০২২

শৈলকুপায় গ্রামে ডেঙ্গু আতঙ্ক

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুটি গ্রামে ডেঙ্গু আতঙ্কে দেখা দিয়েছে। শহরাঞ্চল নয় এখন বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলেও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মশাবাহিত এ রোগে অক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। মশা নিধনে নেই সরকারি কোন উদ্যোগ। তাই মশাবাহিত রোগ আতঙ্কে ভুগছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।

উপজেলার ডেঙ্গু আতঙ্ক গ্রামের নাম দুুধসর উপজেলার চন্ডিপুর ও বাজুখালী। পাশাপাশি গ্রাম দুটিতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ। প্রায় প্রতি বাড়িতেই রয়েছে ২ থেকে ৪ জন করে রোগী। আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।

চন্ডিপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন। বাড়ি থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ডেঙ্গু নেগেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরলেও শারীরিকভাবে তিনি এখনও রয়েছেন দুর্বল। তার বাড়িতে আরো তিন জন ডেঙ্গেুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শুধু সোহাগ হোসেনই নন, তার গ্রামসহ পাশের বাজুখালী গ্রামে প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছে। ওই গ্রাম দুটিতে গেলেই চোখে মেলে বাড়ির উঠান, বারান্দা কিংবা ঘরের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চলছে সেবা-সুস্রসা। কেউ হাসপাতালে আবার কেউ বাড়িতে থেকেই নিচ্ছে চিকিৎসা। অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে। মশা নিধনে প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ। তাই ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সেপ্টেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৯২ জন। তবে বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়েছে গ্রাম থেকে। সব থেকে আক্রান্তের হার বেশি সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার মানউন্নয়নের পাশাপশি সচেতনতামূলক সকল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানান জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রাশেদ আল মামুন।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, মশা নিধনসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close