রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
খাদ্য গুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকের
রানীনগরে ২ মাসে মাত্র ৪ টন সংগ্রহ
রানীনগরে আমন মৌসুমে সরকারিভাবে ৮০০ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। গত দুই মাসে মাত্র চার টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে চাল সংগ্রহের সম্ভাবনা থাকলেও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেশি। তাই খাদ্য গুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন কৃষক। ফলে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্য পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৯৬৯ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ১ ডিসেম্বর উদ্বোধনের দিনে মাত্র চার টন ধান ক্রয় করা হয়। এরপর গত দুই মাসে আর ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন জানান, সরকারিভাবে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এর বিপরীতে স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছেন না। তবে ৪০ টাকা কেজি দরে এক হাজার ৩৩৬ টন চাল সংগ্রহে ইতিমধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা প্রায় ৮০০ টন চাল দিয়েছেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছেন। তবে ধান সংগ্রহ নিয়ে একটু সংশয় রয়েছে।
উপজেলা অভ্যন্তরীণ ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহ হবে, তবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও আমরা সার্বিকভাবে চেষ্টা করছি।’
"