ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

ধামরাইয়ে নিয়মিত ইটভাটায় মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে জনজীবনসহ তিন ফসলি জমি। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। নিজেদের ইচ্ছে মতো মাটি কেটে নিচ্ছে মাটি ব্যবসায়ী ও ইউভাটার মালিকরা। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তা। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মোয়াজ্জেম মেম্বার ও নাছির হোসেন নামের দুই ব্যক্তি কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার বাইশাকান্দা রঘুনাথপুর এলাকার একটি সরিষা ক্ষেতের মাটি প্রায় ১৫-২০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইশাকান্দা, বাস্তা, মাদারপুর, কালামপুর, জালসা, ধলকুন্ড, ভালুম, গাড়াইল, দেপাশাই, নান্নার, জয়পুরা, বেলিশ্বর, সুয়াপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ট্রাক দিয়ে ফসলি জমির মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জমির মালিকরা না বুঝেই তা মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন।

রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক আ. মান্নান বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে মাটি ব্যবসায়ী নাছির হোসেন আমার সরিষা খেতের উপর দিয়ে মাটির লিগ বানিয়ে ট্রাক নিতেছে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি বাঁধা দিলে নাছির আমাকে মারধর করতে আসে।’

একই এলাকায় কৃষক আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ৮৭ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে সরিষা চাষ করেছি। মোয়াজ্জেম মেম্বার আমার সরিষা খেত নষ্ট করে মাটির ট্রাক নিতাছে। আমাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন আমাকে কোন টাকা পয়সা দেয়নি। টাকা চাইলে শুধুই টালবাহানা করে।’

এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন মেম্বার বলেন, ‘জমির মাটি আমি ক্রয় করে কাটতেছি।’ কৃষকদের ফলসি জমির উপর দিয়ে জোর করে লিগ তৈরি করে ট্রাক দিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষতিপূরণ দিয়ে লিগ তৈরি করেছি। জোর করে ট্রাক নিতেছি কথাটি মিথ্যা।’

এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী নাছির হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হাসান বলেন, ইটভাটায় মাটি কেটে নেওয়ার ফলে ফসলি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close