তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দুর্ভোগের আরেক নাম তাড়াশ-খালখুলা সড়ক

বছরজুড়েই চলে ছোটখাটো মেরামত কাজ। এরপরও মেলে না প্রতিকার। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন তাড়াশ-খালখুলা সড়কের অসংখ্য স্থানে ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারের অভাবে সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার খুঁটিগাছা থেকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের খালখুলা বাজার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক হলো সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়। এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। এছাড়া ছোটবড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন। কিন্তু সড়কটির সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জ সওজ, উল্লাপাড়া সড়ক উপবিভাগ অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২০-২১ সালে সড়কের কিছু অংশে সংস্কার কাজ হয়। এ সড়কে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে খোয়া বেরিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে পরিণত হয়েছে ছোট ছোট ডোবায়। বড় বড় গর্তে ইট সোলিং করে যানবাহন চলাচলের উপযোগীর চেষ্টা করা হলেও কিছুদিন পর আবারও সৃষ্টি হচ্ছে গর্তের।

অটোরিকশা চালক নাজমুল হোসেন বলেন, ইট সোলিং দিয়ে গর্ত ভরাট করলেও তেমন সুফল মিলে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে চাকা বসে যায়। তখন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁশবাড়িয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক মাসুম আহম্মেদ বলেন, রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় মালবাহী ভারী ট্রাকগুলো আটকে যায়। ফলে অন্য যানবাহন চলাচল করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক বছর ধরে দেখছি, রাস্তার ভাঙা অংশে ইট বিছানো হচ্ছে। অথচ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

উল্লাপাড়া সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, ওই সড়কের দুইপাশে থাকা বাজারের সব পানি গড়ে এসে রাস্তায় জমে। এ কারণেই সড়কটি মজবুত ও স্থায়ী হচ্ছে না। তাড়াশ-খালখুলা সড়কটি জেলা সওজের আওতায়। জেলা উন্নয়ন প্রকল্পে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ১৮ ফিট প্রশস্থ করে সড়কটি মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close