সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বালু উত্তোলনে ঝুঁকিতে শহর রক্ষাবাঁধ

একদিকে যমুনার তাণ্ডবে ভাঙছে নাটুয়াপাড়া নদীতীর রক্ষা বাঁধের এক অংশ অন্যদিকে বাঁধেরই অন্য অংশের পাশ ঘেঁষে তোলা হচ্ছে বালু। পানির মধ্যে অনেকগুলো ড্রেজার বসিয়ে দিনের পর দিন বালু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা। এতে করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধটি এখন ব্যাপক ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নসহ আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষ।

যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নটি নানা কারণে কাজিপুরের গুরুত্বপূর্ণ। বারবার ভাঙনের পরও এই ইউনিয়নটির গুরুত্ব একটুও কমেনি। বরং কয়েক বছর আগে পশ্চিমে মেঘাই আর পূর্বে নাটুয়ারপাড়া ঘাটকে কেন্দ্রে করে দেশের ৩২তম নৌ-বন্দর ঘোষিত হয়েছে। এই অঞ্চলটিকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় ২০১১ সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করেন। এরপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার এই বাঁধটিকে টিকিয়ে রাখতে উপজেলা পরিষদ এবং স্থানীয় এমপির বরাদ্দ দিয়ে বাঁধটির কাজ করেন।

২০১৮ সালে নাটুয়ারপাড়া বাজার সমিতির লোকজন এই বাঁধ রক্ষায় নিজেরা অর্থ প্রদান করেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী নিজেও বাঁধ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এরই মধ্যে ওই বাঁধ সংলগ্ন নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা। এতে বাঁধটি নিয়ে শঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।

বালু উত্তোলনকারী আবুল কাসেম জানান, আমার জমি থেকে আমি বালু তুলছি। সেখানে কার কী অসুবিধা হলো তা দেখার দায়িত্ব আমার না।

নাটুয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চাঁন জানান, জমির মালিককে নিষেধ করলেও তিনি মানছেন না। নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আবদুর রহিম সরকার মাস্টার জানান, একাধিকবার বলেও কাজ হয়নি।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, এলাকাবাসীর জন্য বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পর্যন্ত কেউ বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমাকে জানায়নি। এখন জানলাম। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close