দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ

  ০১ অক্টোবর, ২০২০

এ বছর পাটে কাক্সিক্ষত ফলন পাননি গোপালগঞ্জের কৃষক

ফরিদপুর অঞ্চল পাট চাষে বিখ্যাত। এ অঞ্চলে প্রচুর পাট হয়। গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলাতেই এবার ব্যাপক হারে পাট চাষ করেছেন কৃষক। এরমধ্যে জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক বার বীজতলা ডুবে যাওয়ায় সময়মত আগাছা পরিষ্কার করতে পারেনি কৃষক। এরপর আবার আগাম বন্যার পানি পাট গাছের গোড়ায় জমে পাট পোক্ত বা আঁশ মোটা ও লম্বা হওয়ার আগেই কাটতে হয়েছে। এতে ওজনে কম হয়েছে এবং প্রতি বিঘায় কৃষকের ঘাটতি হয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মণ। পাটের ফলন কম হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে পাটের দাম বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়ে কৃষককে চরম লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করবে সরকার, এমনটাই আশা করছেন তারা।

সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি মণ পাট দু’হাজার থেকে ২৪ শ’ টাকায় বিক্রি করতে পারছি। দাম মোটামুটি ভালো কিন্তু ফলন কম হয়েছে এজন্য এবার লোকসান হবে। নিচু জমিতে পাট ভাল হয় নি। পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে পাট খাটো ও চিকন হয়েছে। এজন্য প্রতি বিঘায় অন্যবার যে পরিমান ফলন হয় এবার হয়েছে তার অর্ধেক। সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামের সুবির কুমার বলেন, অন্য বছরের তুলনায় পরিবহন খরচ কম লেগেছে ঠিকই তবে বন্যার কারণে পানিতে ডুবে যাওয়ায় পাট কাটা খরচ বেড়েছে। সদর উপজেলার তালার বাজার এলাকার পাট ব্যবসায়ী কাশেম শেখ জানান, পাট জাগ ও ধোয়ার জন্য এবারে পর্যাপ্ত পানি পেয়েছে কৃষক। এতে পাটের চেহারা সুন্দর ও সোনালী রঙের হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছে কৃষক। বেচা-কেনাও ভালো। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ২৪ হাজার ৮শ ৮৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় ৩ হাজার হেক্টর বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রতি হেক্টরে গড়ে ১.৮৬ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলেও জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা। তিনি কৃষককে পরামর্শ দিয়েছেন আগামী মৌসুমে রবি-৮ জাতের পাট চাষাবাদের জন্য। এটি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মাধ্যমে বাজারে এসেছে। লম্বায় ২০ ফুট এবং ফলনও প্রচুর হয় এই রবি-৮ জাতের পাটে, জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close