সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

  ০৬ আগস্ট, ২০২০

সুন্দরগঞ্জে বন্যায় ১৩১ হেক্টর জমির ফসলহানি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ১৩১ দশমিক ৫০ হেক্টর ফসলী জমির পাট, রোপা আমন বীজতলা, সবজী ও তিল ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি উঠেছিল এমন এলাকায় ক্ষয়-ক্ষতির চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শাক-সবজীর ক্ষেতগুলো। অথচ উপজেলার তারাপুরসহ বেশ কিছু এলাকা সবজী চাষের জন্য খ্যাত। এই জনপদের মানুষের সিংহভাগ সবজীর চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে তারাপুরে উৎপাদনকৃত শাক-সবজীর যোগান থেকে। কিন্তু এবারের বন্যায় পটল, ঝিঙা, শশা, করলা, বরবটি, চিচিংগা, ঢেঁড়স, মরিচের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে করে কমে যেতে পারে শাক-সবজীর সরবরাহ, বেড়ে যেতে পারে দাম। যার প্রভাব ইতোমধ্যেই বাজারে পড়তে শুরু করেছে। কিছু আমন বীজতলা নষ্ট হওয়ায় শঙ্কা রয়েছে, এতে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, খরিপ-২ (২০২০-২১) মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মোট ১৩১ দশমিক ৫০ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবারে উপজেলায় চার হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ৬৫ হেক্টর জমির পাট সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোপা আমন বীজতলার পরিমাণ এক হাজার ৫৪০ হেক্টর, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২৫ হেক্টর । সবজী চাষ হয়েছে ৬০০ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ হেক্টর। আর তিল চাষ হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমিতে, ক্ষতিগ্রস্থ তিল চাষকৃত জমির পরিমাণ হলো ৪ হেক্টর। এতে করে উপজেলার মোট দুই হাজার ৩০৫ জন কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা একেএম ফরিদুল হক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যার মধ্যে ৩০ একর জমিতে কমিউনিটি বীজতলা তৈরী করেছি, যা দিয়ে প্রায় ৬০০ একর জমিতে আমন চারা রোপন করা যাবে। পাশাপাশি আরো বন্যার আশঙ্কা করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ১৬টি ভাসমান বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদেরকে ভাসমান বীজতলা তৈরীর প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এসব ভাসমান বীজতলা খালি হলে সবজী বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হবে। মিটবে সবজীর চাহিদাও।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close