পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

  ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মরণোত্তর সম্মাননা পেলেন ভাষাসৈনিক শহীদ এম এ গফুর

মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন ভাষাসৈনিক শহীদ এম এ গফুর। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহোচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার খুলনার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না উদ্যোগে তাকে মরণোত্তর সংবর্ধণা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ এমএ গফুরের পরিবারের সদস্যদের নিকট এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. স.ম. বাবর আলী ও ইউএনও জুলিয়া সুকায়না’র নিকট থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর ছেলে আনোয়ার জাহিদ রবিন ও মেয়ে তামারা হক ছন্দা।

উল্লেখ্য, এমএ গফুর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে গঠিত খুলনা জেলা ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে বেগবান হয় খুলনার ভাষা আন্দোলন। তিনি ১৯৭০ সালে পাইকগাছা-আশাশুনি নির্বাচনী এলাকা থেকে এম.এন.এ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহোচর ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে থেকে পাইকগাছার ওয়াপদার ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা বির্নিমান কাজের শুভ সূচনা করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৬ জুন আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ভাষা সৈনিক শহীদ এমএ গফুরকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করায় ইউএনও জুলিয়া সুকায়না ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. স.ম. বাবর আলী এবং বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শহীদ এমএ গফুরের পরিবারের সদস্যরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close