কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

  ০৭ জানুয়ারি, ২০১৯

কলারোয়ায় সরিষাখেতে মধু সংগ্রহ করছেন মৌ-চাষিরা

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বিস্তৃীর্ণ মাঠ যেন হলুদিয়া বরণে সেজেছে। উপজেলার ভাদিয়ালী, মাদরা, বোয়ালিয়া, সোনাবাড়ীয়া, দমদম চন্দনপুরসহ প্রায় ৩৮টি গ্রামে শরিষা আবাদ হয়েছে। সেই সাথে মধু চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মধু সংগ্রহের কাজে। তাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২৫ টন মধু সংগ্রহ করা। যার আনুমানিক মুল্য ৪০ লাখ টাকা।

জানা গেছে, কলোরোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে মৌসুমী মৌচাষীদের তৎপরতা। সরিষা লাভজনক হওয়ায় অনেক কৃষকরা এখন ধান ও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

এদিকে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মৌ চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ২১ গ্রাম থেকে শতাধিক মৌ চাষীর দল কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরষে ফুল থেকে বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করছেন। তাদের সংগৃহীত এই মধু রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বিক্রি করে থাকেন। মৌ চাষিরা জানান, বছরের নভেম্বর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত সরষে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ চলে। এসময়ে গড়ে একেকজন মৌ চাষী প্রতিমাসে ২০ থেকে ২৫ মণ মধু আহরণ করতে পারেন। চলতি বছর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে মৌচাষীরা সরিষা ফুল থেকে প্রায় ৩৫ টন মধু সংগ্রহ করবেন, যার পাইকারী মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। কলারোয়ায় মৌ-চাষী সাইফুল ইসলাম ও মুন্না মিয়া জানান, ৪ বছর আগে তিনি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ টি বাক্স নিয়ে মৌমাছির মাধ্যমে মধুসংগ্রহের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার বাক্সের সংখ্যা শতাধীক। সরিষা ফুল থেকে তিনি মাসে ২০-২৫ মণ মধু সংগ্রহ করছেন। তিনি এই মধু ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় পাইকারী বিক্রি করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহসিন আলী জানান, এ বছর ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫২ হাজার মেট্রিক টন। সরকার বারি-১৪ জাতের বীজ সরবরাহ করায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। জেলায় ৩৫ টন মধু সংগ্রহ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মৌচাষীরা আসায় ফলন প্রায় ১৫ শতাংশ বৃৃদ্ধি পাবে। মৌমাছি শুধু মধুই সংগ্রহ করে না, ফসলের জন্য ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ মেরে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close