গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

গোবিন্দগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

‘হামার জমিত এবার ধান খুব ভালো হছে বাহে। ধান খেতত গেলে বুক ভরে যায়।’ ধানখেতে দাঁড়িয়ে খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চশরহিমাপুর গ্রামের জায়েদ আলী।

তিনি জানান, ধানখেতে এবার সময়মতো সার, সেচ দিতে পেরেছেন তিনি। তাছাড়া আবহাওয়াও ছিল অনুকূলে, পোকামাকড়ও নেই বললে চলে। এবার তার ধান খুব ভালো হয়েছে। শুধু জায়েদ আলীরই নয়, উপজেলার প্রায় সবারই ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, গোবিন্দগঞ্জের গ্রামে গ্রামে বিস্তীর্ণ সবুজ ধানের খেতে ধান পেকে এখন সোনালি রং ধারণ করেছে। শীতের আগমনী বার্তায় ধানগাছে ভোরের শিশির বিন্দুর ঝিলিক আর এলোমেলো বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধানের সোনালি শিষ। আর মাত্র ছয়-সাত দিন পরই শুরু হবে আমন ধান কাটার উৎসব। আগাম জাতের ধান তো ৮-১০ দিন আগেই কাটা শুরু হয়েছে। বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধে ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন কৃষকরা। সেই সঙ্গে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দিনমজুর শ্রমিক আর কৃষাণ-কৃষাণিরাও। গোবিন্দগঞ্জ কৃষি অফিসার সাহেরা বানু বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার একটি পৌর সভাসহ ১৭টি ইউনিয়নে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার ৪২০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৩০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। ধানের আবাদও হয়েছে ভালো। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন তিনি।

তিনি জানান, ইতোমধ্যেই গ্রামে গ্রামে ধানের খেতে সব ধানেরই শিষ বের হয়ে পেকে সোনালি রং ধারণ করেছে। আর কয়েক দিন পরই পুরোদমে আমন ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে গ্রামে গ্রামে। ধান কাটা, মাড়াই, সিদ্ধ, শুকানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন কৃষাণ-কৃষাণি আর দিনমজুররাও।

সাহেবগঞ্জের নুরুল হোসেন জানান, এ বছর প্রথম দিকে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কৃষকরা শ্যালোমেশিনে সেচ দিয়ে আমন আবাদ করেছেন। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা খরচ বেশি হয়েছে। তবে খরচ বেশি হলেও এবার আমনের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। পোকামাকড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগও হয়নি। এতে বাড়তি খরচটা পুষিয়ে যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close