আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১৩ অক্টোবর, ২০১৮

তালতলীতে ছেলের মারপিটে বাবা হাসপাতালে

‘মুই জমি লেইখ্যা না দেওয়ায় মোর পোলায় মোরে মারছে’

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোবাহান পাড়া গ্রামের বৃদ্ধ মো. জব্বার মুন্সীকে (৭০) মারপিট করেছে তার বড় ছেলে মো. ছালাম মুন্সী (৪৫)। আহত মো. জব্বার মুন্সীকে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টেবার মঙ্গলবার দুপুরে সোবাহান পাড়া গ্রামের জব্বার মুন্সীর স্ত্রী জবেদা খাতুন (৬৫) ১ অক্টেবার মারা যায়। মারা যাওয়ার ১ সপ্তাহ পরে গত সোমবার জবেদা খাতুনের চল্লিশা অনুষ্টিত হয়। চল্লিশা অনুষ্ঠানে ছেলে ছালাম পিতা জব্বার মুন্সীর কাছে জমি লিখে দিতে বলেন। এতে পিতা অপরাগতা প্রকাশ করলে ছেলে তার পিতাকে মারপিট করেন। এ সময় জব্বার মুন্সীর মেয়ে ফাতেমা, মেয়ে জামাই কাশেম বাধা দিতে গেলে ছালাম মুন্সী ও তার ছেলে এমাদুল, ছালামের জামাতা সিদ্দিক, বশির ও আলমগীর তাদেরকে মারপিট করেন। একই দিন জব্বার মুন্সীর আরেক মেয়ে জামাই ফারুক মিয়া (৩৫) কে নিশান বাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মারপিটের করেন ছালাম মুন্সী তার ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় মো. জব্বার, ফাতেমা ও কাশেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মেয়ে জামাতা ফারুকের এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় বৃদ্ধ পিতা মো. জব্বার মুন্সী বলেন, ‘মুই জমি লেইখ্যা না দেওয়ায় মোর পোলা ছালাম, নাতী এমাদুল, নাতনী জামাই সিদ্দিক, বশির ও আলমগীর মোগে মারপিটের করেন।’ তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার চান।

এ ব্যাপারে ছেলে ছালাম মুন্সী মুঠোফোনে তার বাবাকে মারপিটের কথা অস্বিকার করেন। এ ব্যাপারে নিশান বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.দুলাল ফরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন অভিযোগ পাই নাই। তবে অভিযোগ পেলে ছেলের বিচার করা হবে।

এ ব্যাপারে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘জবেদা খাতুনের চল্লিশার দিন খাওয়া দাওয়া নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবী করেছেন প্রশাসনের কাছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close