সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কোটা উপেক্ষা
৪০ স্কুলে দফতরি নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
মুক্তিযোদ্ধা কোটা না মানায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ৪০ স্কুলে দফতরি কাম-নৈশপ্রহরী নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গত রোববার দুপুরে এ-সংক্রান্ত একটি কপি চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পৌঁছায়। রিট আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌহালী উপজেলা যমুনা নদী বিধৌত দুর্গম চরাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো যুগোপযোগী করতে গত বছরের ২৩ এপ্রিল ৪০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম-নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়ার জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তখন অভিযোগ উঠে, মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে একটি চক্র এ নিয়োগ সম্পন্ন করছে। অন্যদিকে সরকারি নিয়মানুযায়ী ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকলেও এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তা প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা গাজী নজরুল ইসলাম এ নিয়ে রিট পিটিশন করলে হাইকোর্ট এ নিয়োগ স্থগিত করেন। এরপর স্থগিত আদেশের সময় শেষ হলে আবারও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন; যা ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা না থাকায় গত ১৫ মে হাইকোর্টে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ ও অধ্যাপক আব্দুল বাতেন সিদ্দিকী রিট পিটিশিনর করলে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ আবারও ৬ মাসের জন্য এই নিয়োগ স্থগিত আদেশ দেন। যার কপি গত রোববার দুপুরে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল। এদিকে, রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ ও অধ্যাপক আব্দুল বাতেন সিদ্দিকী আদালতের স্থগিত আদেশে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, ‘৪০ জন দফতরি নিয়োগে আমাদের সন্তানদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি। তাই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমরা স্থগিত আদেশে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছি।
আশা করছি, এবার মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
"