মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ০৩ মে, ২০২৪

মেহেরপুর হাসপাতাল

চিকিৎসক সংকটের মধ্যেই ৭ জনকে বদলি, স্থবির সেবা

চিকিৎসক সংকট থাকার পরও এবার গুরুত্বপূর্ণ পদের সাতজন চিকিৎসক বদলি হওয়াতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে ২৫০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। মেডিসিন কনসালট্যান্ট, অর্থপেডিক, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হওয়াতে রোগীরা সঠিক চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না।

জানা যায়, অধিকাংশ রোগীকে কুষ্টিয়া কিংবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করছেন চিকিৎসকরা। জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালের শূন্যপদে জনস্বার্থে পদায়নের জন্য হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় এমপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পত্র দিয়েছেন। তার পরও চিকিৎসক পদায়ন না করায় হাসপাতাল থেকে রোগীরা ফিরে যাচ্ছে।

হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে, সাত লাখের বেশি মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। জনবলসহ সংকট ও নানা সমস্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে চিকিৎসাসেবা। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। এমনিতেই ১০০ শয্যার লোকবল দিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি পরিচালিত হয়ে আসছে দুই যুগ ধরে। ১০০ শয্যার হাপাতালের জন্য ৪২ জন চিকিৎসকের নেই ২৫ জন। এরমধ্যে জ্যেষ্ঠ পরামর্শক (কনসালটেন্ট) (মেডিসিন), জ্যেষ্ঠ পরামর্শক (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো-সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (প্যাথলজি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন), রেডিওলজিস্ট, মেডিকেল কর্মকর্তা, ইমারজেন্সি মেডিকেল কর্মকর্তা ও অ্যানেসথেটিস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কোনো চিকিৎসক নাই।

আউটডোর ও ইনডোরে রয়েছে ডাক্তার সংকট। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও সংশ্লিষ্ট ডাক্তার না থাকায় মেজর কোনো অপারেশনও করা যাচ্ছে না।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তার জানান, মেডিসিন কনসালটেন্ট না থাকায় বড় সমস্যা জটিল রোগের চিকিৎসায় মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না। আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা পদে লোকবল না থাকায় পোস্টমর্টেম, মারামারি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ কেসগুলো নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সাতজন জরুরি বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তার স্থলে একজনকে দিয়ে কোনোরকম হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close