নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ জুলাই, ২০১৭

কিছুটা কমেছে চালের দাম বাড়তি দামেই সবজি

বিদেশ থেকে চাল আমদানির ফলে রাজধানীর বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ৫-৬ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে কমেছে মাত্র ২-৩ টাকা। চালের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তিতে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। অন্যদিকে কাঁচাবাজারগুলোতে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। দাম না কমার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে টানা কয়েক দিন বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জেলায় বন্যা হওয়া সবজির সরবরাহ কম।

গতকাল শুক্রবার নগরীর মহাখালী কাঁচাবাজারসহ স্থানীয় কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা স্বর্ণা চাল ৩ টাকা কমে প্রতি কেজি ৪৩ টাকা, পারিজা চাল ৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ২ টাকা কমে ৫৪ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২, বিআর২৮ ৪৮, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫২, পাইজাম চাল ৪৮, বাসমতী ৫৩, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরনো) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাপণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা; শশা, পটল, কচুরমুখী, করলা, চিচিঙ্গা, কাকরোল ও ঢেড়স ৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া চালকুমড়া ৫০ টাকা; কচুরলতি ও ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; পেঁপে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। প্রতিটি ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা এবং লেবু হালিপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা; পালংশাক আঁটিপ্রতি ১৫; লালশাক ১৫; পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া গতকালের বাজারে কেজিপ্রতি দেশি পিঁয়াজ ৩০ টাকা; ভারতীয় পিঁয়াজ ২৮ টাকা; দেশি রসুন ১১০ টাকা; ভারতীয় রসুন ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। হাইব্রিড টমেটো বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা; দেশি টমেটো ৯০ টাকা দরে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ৮০ টাকা; আলু ২৪ টাকা। সবজিবিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশির ভাগ সবজির দাম আগে যা ছিল এখনো তাই রয়েছে। তবে দিন দশেক ধরে বাজারে নতুন সবজি হিসেবে শিম ও ফুলকপি এসেছে। এখন প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও এই সবজিটি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদিবাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। গতকালের বাজারে কেজি প্রতি দেশি মুগডাল ১৩০ টাকা; ভারতীয় মুগডাল ১২০; মাষকলাই ১৩৫, দেশি মসুরডাল ১২৫; ভারতীয় মসুরডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

তবে ভোজ্য তেলের ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ২০-৩০ টাকা বেড়ে ৫৩০-৫৪০ টাকা; প্রতি লিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বাজার দর পর্যালোচনা করে দামের কিছুটা পার্থক্য দেখা গেছে, টিসিবির মূল্য তালিকায় ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫১০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা। প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০২-১০৭ টাকা।

মাংসের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি আগের দাম অর্থাৎ ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হয়েছে ১৬০০ টাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist